
ছবি: সংগৃহীত
প্রতি বছর ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানজট একটি সাধারণ চিত্র হয়ে দাঁড়ায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা কম। মূল কারণ, মহাসড়কের নির্দিষ্ট কিছু অংশে উন্নয়নকাজ চলমান থাকায় যানবাহনের স্বাভাবিক গতিতে চলাচল ব্যাহত হতে পারে। যদিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যানজটমুক্ত ঈদযাত্রার আশ্বাস দিয়েছে এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
চার লেনের সুবিধা, তবে সিঙ্গেল লেনে ভোগান্তি
চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হওয়ায় এ অংশে যানজটের আশঙ্কা নেই। কিন্তু এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত সাসেক-২ প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান, ফলে এ পথে যানবাহন চলাচলে বাধার সৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি যমুনা সেতুতে সিঙ্গেল লেনের সীমাবদ্ধতা থাকায় এবারও যানজটের শঙ্কা করছেন চালক ও যাত্রীরা।
চালক ও যাত্রীদের অভিজ্ঞতা
অনেক চালক জানিয়েছেন, চন্দ্রা-এলেঙ্গা অংশে স্বস্তিতে গাড়ি চালানো গেলেও যমুনা সেতু এলাকায় যানজট শুরু হয়। অন্যদিকে, যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, সড়কের সংস্কারাধীন অংশে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে, যা গরমের মধ্যে আরও ভোগান্তি বাড়িয়ে দেয়।
কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ ও আশ্বাস
যানজট এড়াতে যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
- যমুনা সেতু সাইট অফিসের প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল জানিয়েছেন, সেতুর উভয় পাশে ৯টি করে মোট ১৮টি টোল বুথ চালু রাখা হবে, যাতে টোল আদায় দ্রুত হয়।
- সাসেক-২ প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার রবিউল আওয়াল বলেন, ব্রিজ ও কালভার্টসহ বেশিরভাগ উন্নয়নকাজ শেষ হয়েছে। ফলে এবার যানজট তুলনামূলক কম হতে পারে।
- টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ঘরমুখো যাত্রীদের নির্বিঘ্নে বাড়ি পৌঁছে দিতে পুলিশ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
স্বাভাবিকের চেয়ে তিনগুণ বেশি যানবাহন চলবে
সাধারণ সময়ের তুলনায় ঈদযাত্রায় এ মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়ে যায়। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে প্রতিদিন ১০-১৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে, সেখানে ঈদের সময় তা ৩০-৪৫ হাজারে পৌঁছায়।
যদিও এবার যানজট কমানোর নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তবুও সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সিঙ্গেল লেনের বাধা ও চলমান উন্নয়নকাজ ঈদযাত্রায় কিছুটা হলেও ভোগান্তির কারণ হতে পারে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ