
ছবি: সংগৃহীত
সুন্দরবনের তেইশের ছিলার শাপলার বিল এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট কাজ করছে। তবে পানি স্বল্পতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টা খুলনা ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, শাপলার বিলের আগুন কলমতেজী এলাকার আগুনের তুলনায় আরও তীব্র। আগুন ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। রোববার থেকে বাগেরহাট ও খুলনা থেকে ছয়টি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে, পরে আরও চারটি ইউনিট যোগ দেয়। তবে পানি স্বল্পতা এবং বনাঞ্চলের ভেতরে প্রবেশের জটিলতার কারণে আগুন নেভানোর কাজে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
ড্রোন ও জিপিএস প্রযুক্তির ব্যবহার সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নুরুল করিম জানান, যখন কলমতেজী টহল ফাঁড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছিল, তখন শাপলার বিল এলাকায় নতুন করে আগুনের সূত্রপাত হয়। দ্রুত আগুনের উৎস চিহ্নিত করতে ড্রোন ও জিপিএস ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
তিনি বলেন, "ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আগুনের মূল স্থান শনাক্ত করে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আমরা এখানে এসে দেখতে পাই, কিছু এলাকায় আগুনের তীব্রতা অনেক বেশি, আবার কিছু জায়গায় শুধু ধোঁয়া বের হচ্ছে। বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয় গ্রামবাসী ও বন কর্মকর্তাদের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।"
ক্ষতির পরিমাণ ও চ্যালেঞ্জ এখনও পর্যন্ত আগুনে কত একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কলমতেজী এলাকার মতোই, শাপলার বিলের আশপাশেও পানির উৎস তিন কিলোমিটার দূরে। ফলে পানি সংগ্রহ ও সরবরাহ করতেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বেগ পেতে হচ্ছে।
স্থানীয় বন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুন যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য বিকল্প উপায়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ শুরু করেছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ