ডা. সাবরিনা শারমিন (ছবি: সংগৃহীত)
জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা শারমিনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়ের করা প্রতারণার মামলায় চার্জগঠন শুনানির তারিখ পিছিয়েছে। পরবর্তী তারিখ আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) মামলাটির চার্জগঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন তারপক্ষের আইনজীবীরা শুনানি পেছানোর জন্য সময় আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালতে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন করে এই তারিখ ঠিক করেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৬ সালের ২ ডিসেম্বর ডা. সাবরিনার সঠিক জন্ম তারিখ। তিনি ২০১৬ সালে দ্বিতীয় এনআইডিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর জন্ম তারিখ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দেন। তিনি ১৯৯১ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০০০ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৮৩ সালে জন্ম তারিখ ধরলে তিনি মাত্র আট বছর বয়সে এসএসসি ও ১৭ বছরে এমবিবিএস পাস করেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বয়স কমিয়ে জালিয়াতির উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় টিআইএন নম্বর প্রাপ্ত হয়েছে এবং প্রতারণামূলকভাবে দ্বিতীয় এনআইডি খাটি দলিল হিসেবে তার অফিসে এইচআরআইএস এ ব্যবহার করে পিআরএলের সময় বৃদ্ধি করে অপরাধ করেছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বর্তমান সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরিনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।
ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর এনআইডি জালিয়াতির মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান জোনের পরিদর্শক রিপন উদ্দিন। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত।
বাংলাবার্তা/এসএ