ছবি: বাংলাবার্তা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা মামলায় একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল হক বাবু , একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি শাহরিয়ার কবির ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত এই ৩ জনকে সাতদিন করে রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এই ৩ জনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীতে কাজের মেয়ে লিজাকে হত্যা মামলায় মোজাম্মেল বাবু ও শাহরিয়ার কবিরকে গ্রেফতার দেখানো হয়। অপর দিকে এই আন্দোলনে গুলি করে যুবক ফজলুকে হত্যা মামলায় শ্যামল দত্তকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বৈষম্যবিরোরধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ২২ জুলাই গুলিতে লিজা নিহত হন। গত ৫ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা মো. জয়নাল শিকদার বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৮ জুলাই রমনা থানাধীন এলাকায় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে ছাত্রজনতা ও সাধারণ মানুষ আহত হয়। পরে গত ২২ জুলাই গুলিবিদ্ধ লিজা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ভাষানটেক থানা এলাকায় বিজয় মিছিল করতে গেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ফজলু মারা যান। এ ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর নিহত ফজলুর ভাই সবুজ বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
বাংলাবার্তা/এআর