ছবি : সংগৃহীত
বিতর্কিত সংঘ ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী প্রভুর সমর্থকদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যায় মামলা করেছে পরিবার। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের ইন্ধনে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে।
আসামিদের মধ্যে শুভ কান্তি দাস চট্টগ্রামের পটিয়ার বাসিন্দা। শুভ বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে বহিষ্কার করেছে। অন্য আসামিরা চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানাধীন পাথরঘাটা সেবক কলোনি ও বান্ডেল রোডের বাসিন্দা।
এজাহারে বাদী জামাল উদ্দিন উল্লেখ করেন, সাইফুল ইসলামকে দাফন; পরে স্বজনদের সাথে আলোচনা এবং ভিডিও দেখে আসামিদের পরিচয় সংগ্রহ করতে সময় লাগায় মামলাটি করতে দেরি হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দিনগত রাতে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় আইনজীবী আলিফ হত্যার তিনদিন পর বাবা মো. জামাল উদ্দীন মামলাটি করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- চন্দন,ভট্টাচার্য্য। আমান দাস, বুঞ্জা, শুভ কান্তি দাস, বিধান, রনব, রমিত, বিকাশ, নয়ন দাস, রুমিত দাশ, বিশাল দাস, গগন দাস, বিশাল, ওমকার দাস,লালা, রাজকাপুর, সোহেল দাস, সামির, দুর্লভ দাস বিগলাল, শিব কুমার,গণেশ,পরাশ, পপি, ওম দাস, দেবী চরণ,অজয়, জয়, দেব ও রাজীব।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি কাজী তারেক আজিজ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। আরও অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ ১১৬ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করেন আলিফের ভাই খানে আলম।
বাংলাবার্তা/এমআর