ছবি : সংগৃহীত
বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় কারাদণ্ড পাওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামি খালাস পেয়েছেন।
আজ রবিবার (১ ডিসেম্বর) মামলার বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে এই আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলার বিচার অবৈধ ছিল জানিয়েছেন আদালত।
২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের রায় ঘোষণার দিন আজ ঠিক করা ছিল।
২০১৮ সালের অক্টোবরের ১০ তারিখ এই মামলায় বিএনপি-জামায়াত সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত।
একইসঙ্গে বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বর্তমানে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব মো. হারিছ চৌধুরী, দলের নেতা কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত।
ওই বছরই নভেম্বরের ২৭ তারিখ রায়টি দরকারি নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছায়।
নিম্ন আদালতে ফাঁসিদণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ আসামি ছিলেন- সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুর রহিম, মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, হানিফ পরিবহনের মালিক মোহাম্মদ হানিফ, মাওলানা মো. তাজউদ্দীন, মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম, মাওলানা মো. শেখ ফরিদ, মাওলানা মো. আবু সাইদ, মুফতি মো. মঈনউদ্দিন শেখ ওরফে আবু জান্দাল, মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন, হাফেজ মো. আবু তাহের, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. ইউসুফ ভাট, আবদুল মালেক, রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ, মো. মফিজুর রহমান ওরফে মহিবুল্লাহ, হোসাইন আহমেদ তামিম ও মো. জাহাঙ্গীর আলম।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা ছিলেন- মাওলানা আবদুর রউফ, শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, আবু বকর ওরফে সেলিম হাওলাদার, মাওলানা সাব্বির আহমদ ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির, আরিফ হাসান ওরফে সুজন ওরফে আবদুর রাজ্জাক, আবু হোমাইরা ওরফে পীরসাহেব, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ, মহিবুল মোত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন, আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন, মো. খলিল, জাহাঙ্গীর আলম বদর ওরফে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর, মো. ইকবাল, লিটন ওরফে মাওলানা লিটন, তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়া, হারিছ চৌধুরী (মৃত বলে খবর প্রকাশ হয়েছে), কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই এবং রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে বাবু ওরফে রাতুল বাবু।
বাংলাবার্তা/এমআর