
সংগৃহীত
রাজধানীর পূর্বাঞ্চলে প্লট জালিয়াতির ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ৬ মামলার চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
সোমবার (১০ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্লট জালিয়াতির তদন্ত করতে গিয়ে শেখ পরিবারের আরও একাধিক প্লট-ফ্ল্যাটের সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুদক, যা নিয়ে অনুসন্ধানে নামছে সংস্থাটি।
মহাপরিচালক আরও বলেন, অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়ার মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে সমনজারিসহ আইনি অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
প্লট বরাদ্দে সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং শেখ হাসিনার সাবেক একান্ত সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের দায় খুঁজে পাওয়ায় তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে চার্জশিটে। এমনকি শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়ের প্লট বরাদ্দের নথি গায়েব ও নষ্টের সন্ধান পেয়েছে দুদক বলেও জানান আক্তার হোসেন।
৫ আগস্ট-পটপরিবর্তনের পর প্রথমবারের মতো দুর্নীতির মামলায় বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা, ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকসহ শেখ পরিবারের ৭ সদস্য। পূর্বাচলে অবৈধভাবে প্লট গ্রহণ করায় ৬ মামলায় সংশ্লিষ্ট ২৩ জনকে আসামি করে চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে দুদক। সংস্থাটি বলছে, শিগগিরই আদালতে চার্জশিট দাখিলের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ২০২২ সালে ১০ কাঠা করে ৬টি প্লট বরাদ্দ নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা। রাজধানীতে প্লট থাকার পর শেখ হাসিনা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে প্লট গ্রহণ করায় গত জানুয়ারিতে শেখ হাসিনা ও তার বোন রেহানা এবং তাদের সন্তানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করে দুদক। প্রায় দুই মাসের তদন্ত শেষে শেখ পরিবারের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ মেলায় চার্জশিটের অনুমোদন দিল দুদক। যেখানে প্লট বারদ্দ দিতে খালা শেখ হাসিনাকে প্রভাবিত করায় হুকুমের আসামি করা হয়েছে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে।