
ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা একটি হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তুরিন আফরোজকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, চলতি বছরের ২৭ মার্চ জব্বার নামের এক ব্যক্তি উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টায় জড়িত থাকার’ অভিযোগ আনা হয়।
এই মামলার প্রেক্ষিতে গতকাল রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তুরিন আফরোজ এক সময় আলোচিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এই দায়িত্বে ছিলেন।
তার রিমান্ড সংক্রান্ত আদেশকে কেন্দ্র করে আইন অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ এটিকে আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ বলছেন—এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে।
এদিকে, তুরিন আফরোজের পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ‘মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। তারা আদালতের কাছে রিমান্ড বাতিলের আবেদনও করেন, তবে তা নাকচ হয়।
মামলার বাদী জব্বার ও আসামিদের মধ্যে সম্পর্ক বা ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক কিংবা ব্যক্তিগত বিরোধ রয়েছে কিনা—সে বিষয়ে পুলিশ এখনো বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তবে তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
তুরিন আফরোজের গ্রেপ্তার ও রিমান্ড সংক্রান্ত বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা তৈরি করেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, একজন সাবেক রাষ্ট্রীয় প্রসিকিউটর কীভাবে এমন মামলার আসামি হতে পারেন।
এই মামলার ভবিষ্যৎ গতিপথ, তদন্তের ফলাফল এবং তুরিন আফরোজের আইনি লড়াই—সব মিলিয়ে এটি এখন একটি বহুল আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ