
ছবি: সংগৃহীত
পূর্বাচলে রাজউকের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার, জাকির হোসেন গালিবের আদালত এই পরোয়ানা জারি করেন। এই মামলায় আসামি হিসেবে শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা, রাজউকের সাবেক সদস্য, ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি রয়েছেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, রাজউকের পূর্বাচলে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দের প্রক্রিয়ায় স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে হাসিনা পরিবারের সদস্যদের জন্য এই প্লট বরাদ্দে অংশ নেয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার পরিবারকে বিশেষ সুবিধা প্রদানের জন্য অন্যান্য কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এই অনিয়ম করা হয়, যা আইনগতভাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য।
এটি পূর্ববর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় গঠিত কমিশনের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রথম মামলা। মামলা দায়েরের পর, দুদক তদন্তে অনেক তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছে, যা এই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করছে। অভিযোগ অনুযায়ী, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৬০ কাঠার প্লটের বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন। এভাবে ১০ কাঠার ছয়টি প্লট বিতরণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করা হয়েছে, যা একটি গুরুতর দুর্নীতির ঘটনা।
মামলায় মোট ১৮ জনের নাম রয়েছে, যার মধ্যে রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি দফতরের সিনিয়র কর্মকর্তারাও রয়েছেন। এছাড়াও, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদও এই মামলায় অভিযুক্ত।
মামলার তদন্তের ধারাবাহিকতায় এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়, এবং তদন্তে অংশ নেয়া অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে মামলা দায়ের করা হবে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ