
ছবি: সংগৃহীত
রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও সাবেক ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকসহ পরিবারের একাধিক সদস্য এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রোববার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় চার্জশিট আমলে নেন এবং আসামিদের পলাতক ঘোষণা করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
আসামিদের মধ্যে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ছাড়াও রয়েছেন রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর কন্যা আজমিনা সিদ্দিক। এ ছাড়া সরকার ও রাজউকের ১৪ কর্মকর্তাও এই মামলায় অভিযুক্ত।
দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, দুর্নীতির মাধ্যমে পূর্বাচলে ৬০ কাঠা জমির প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে মোট ৮টি পৃথক মামলা করা হয়। তদন্ত শেষে এই মামলাগুলোর চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হয়।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে, অযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও পূর্বাচল আবাসিক প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রোডের অন্তর্ভুক্ত ৬টি প্লট নিজেদের নামে বরাদ্দ নেন। প্লট বরাদ্দের সময় তারা সরকারি পদের অপব্যবহার করেছেন এবং অসৎ উদ্দেশ্যে সুবিধা নিয়েছেন, যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এবং দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ মামলায় যে ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদস্যরা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক কর্মকর্তাসহ একাধিক প্রশাসনিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার একই মামলায় শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ আরও ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে, পূর্বাচলে সুবিধাজনক এলাকায় এই প্লটগুলো বরাদ্দ পেতে সরকারপ্রধানের পদ ব্যবহার করা হয়েছে। বরাদ্দের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্রাপ্যতা ও আইনগত শর্ত পূরণ না করলেও, প্রভাব খাটিয়ে সুবিধা নেওয়া হয়।
বাংলাবার্তা/এমএইচ