
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে আইন পেশায় প্রবেশের প্রথম ধাপ হিসেবে পরিচিত আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) এমসিকিউ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাতে বার কাউন্সিলের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবারের এমসিকিউ পরীক্ষায় মোট ১৩ হাজার ২৫৮ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এই ফলাফল বহু তরুণ আইন স্নাতকের জন্য আনন্দের বার্তা হিসেবে এসেছে। কারণ, উত্তীর্ণদের এখন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে, যা আইনজীবী হিসেবে বার কাউন্সিলের স্বীকৃতি অর্জনের পথে দ্বিতীয় ধাপ। লিখিত পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
বাংলাদেশে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়: এমসিকিউ, লিখিত, ও মৌখিক (ভাইভা)। এ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হলে প্রথমে আইনের ওপর স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হয় এবং পরে কমপক্ষে ১০ বছর আইন পেশায় রয়েছেন এমন একজন সিনিয়র আইনজীবীর অধীনে ইন্টিমেশন জমা দিতে হয়।
ইন্টিমেশন জমা দেওয়ার পর ছয় মাসের ইন্টার্নশিপ বা প্রশিক্ষণকাল শেষ হলে পরীক্ষার্থীরা এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা পরবর্তীতে ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভ করেন।
এই সনদ অর্জনের পর একজন আইনজীবী নির্দিষ্ট জেলা বারে যোগদান করে বাংলাদেশে আইন পেশায় যুক্ত হতে পারেন। পুরো প্রক্রিয়াটি তত্ত্বাবধান করে দেশের আইনজীবীদের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) এমসিকিউ ফলাফল দেখুন এখানে>>>
এবারের এমসিকিউ পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত। এতে অংশ নিয়েছিলেন মোট ৪০ হাজার ৬২৭ জন পরীক্ষার্থী। এই বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে ১৩ হাজারের বেশি প্রার্থীর উত্তীর্ণ হওয়া একদিকে যেমন প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশের ইঙ্গিত দেয়, তেমনি আইন পেশায় নতুন রক্তের আগমনের সম্ভাবনাও তুলে ধরে।
বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলের মাধ্যমে প্রত্যেক পরীক্ষার্থী নিজ নিজ রোল নম্বর অনুযায়ী ফলাফল দেখতে পারছেন। যারা এই ধাপে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের এখন লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য দ্রুত পরিকল্পনা করতে হবে।
আইনজীবী পেশায় প্রবেশের এ দীর্ঘ ও কঠোর প্রক্রিয়াটি পেশার গুরুত্ব ও মর্যাদাকে তুলে ধরে। এ বছর যারা এমসিকিউতে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের জন্য লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে একটি মর্যাদাসম্পন্ন পেশায় যুক্ত হওয়ার দিক উন্মুক্ত হলো।
বাংলাবার্তা/এমএইচ