ছবি সংগৃহীত
বাজারে কোনো সুখবর নেই। আলু, পেঁয়াজ, আদা, চিনি, ভোজ্যতেলসহ বেশির ভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বর্ধিত দাম আর কমেনি। চড়া দামেই বিকোচ্ছে এসব পণ্য।
শুক্রবার রাজধানীর বৃহত্তর মিরপুরের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র। তবে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে সবজির দাম।
দেখা গেছে, পটল, ঢেঁড়স, কাকরোল, চিচিঙ্গাসহ বেশির ভাগ সবজির কেজি কেনা যাচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। যা আগে ১০-২০ টাকা বেশি ছিল। অন্যদিকে বাজারে টমেটো ও কাঁচামরিচের দাম এখনো চড়া। টমেটো কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৬০ টাকায় আর কাঁচামরিচ কেনা যাচ্ছে ১৮০ থেকে ২৪০ টাকার মধ্যে।
সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা কমেছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭৯ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আগের মতোই বাজারে প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ কম, বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।
মসলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে জিরার। খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি জিরা বিক্রি করছেন ১০০০ থেকে ১১৫০ টাকায়। অথচ এক বছর আগে মসলাটির দাম ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে দেশি রসুনের দাম, বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। চীন থেকে আমদানি করা রসুন কিনতে দিতে হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। আর এসময়ের ব্যবধানে পেঁয়াজের দামে তেমন কোনো হেরফের হয়নি। দেশি পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর আদার দাম কিছুটা কমে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা ঈদের আগে ৩০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
ব্রয়লারের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩৪০ টাকায়। একইভাবে ডিমের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে ৫ টাকা বেড়েছে। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা দরে।