সংগৃহীত ছবি
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে বিএনপি-জামায়াতের ঘোষিত তৃতীয় দফা সর্বাত্মক অবরোধের দ্বিতীয় দিন চলছে। তাই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকেই তারা এই অবরোধ কর্মসূচি পালনের জন্য রাস্তায় নামেন।
আজ সকাল ৮টায় উত্তরা-আশুলিয়া সড়কে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সড়ক অবরোধ করে পিকেটিং ও বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এ সময় রিজভী আহমেদ বলেন, বিএনপির চলমান অবরোধে সর্বস্তরের জনগণ সমর্থন জানিয়েছে। দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। চারদিক থেকে সরকারের পতনের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। সবাই এখন অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে আছে। জোর করে আর নিশিরাতের সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
এদিকে সকাল ৭টায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে রাজধানীর ব্যস্ততম সায়দাবাদের জনপথ সড়কে মিছিল হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা সরকারের পদত্যাগ ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
একই সময় লালবাগে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজের নেতৃত্ব মিছিল বের হয়।
এ ছাড়া রাজধানীর কাওরান বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে মিছিল ও পিকেটিং করেছেন তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এর নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ফয়সাল দেওয়ান ও সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন খান।
সকাল সাড়ে ৯টায় সেগুনবাগিচা এলাকায় অবরোধের সমর্থনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিবের নেতৃত্বেও বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দল, গুলশান-১-এ সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রদল, পল্লবীতে থানা শ্রমিক দলসহ বিএনপির অন্যান্য থানা ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড ঝটিকা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তবে তাদের কাউকেই বেশি সময় ধরে সড়কে অবস্থান নিতে দেখা যায়নি।
এ ছাড়া নয়া পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনেও কোনও নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি। শুধু তালাবদ্ধ কার্যালয় ঘিরে সতর্ক অবস্থানে আছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিএনপির অবরোধকে কেন্দ্র করে রাজধানীর অধিকাংশ প্রধান সড়কই ছিল ফাঁকা। তবে মিরপুর, আবুল হোটেল, মোহাম্মদপুরের এলাকাগুলোর মধ্যে অল্প দূরত্বে যান চলাচল তুলনামূলক স্বাভাবিক ছিল। সড়কে মানুষের উপস্থিত ছিল এলাকাকেন্দ্রিক।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থাকা বেসরকারি চাকরিজীবী ইফাদ শরিফ বলেন, ভেবেছিলাম তৃতীয় দফার অবরোধে মানুষের মধ্যে ভয় কমে আসবে। কিন্তু এখনও তাদের মনে আতঙ্ক আছে বলে মনে হয়। সকাল থেকেই দেখছি রাস্তায় গণপরিবহনে সংখ্যা কম, সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও চোখে পড়ছে না। সাধারণত উৎসবের ছুটির দিনগুলোয় এ রকম ফাঁকা থাকে।
তবে অগ্নিসংযোগের ঘটনাগুলোর কারণে গাড়ি নিয়ে বের না হওয়ায় এমন চিত্র বলেও মনে করেন তিনি।