সংগৃহীত ছবি
নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে দীর্ঘদিন ধরেই হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন সময় নানা পণ্যের দাম কিছুটা ওঠানামা করলেও বাজার ছুটছে ঊর্ধ্বমুখী। এরই মাঝে নতুন করে লাফিয়ে বেড়েছে টমেটোর দাম। মাছ-মাংসের বাজারও চড়া। এছাড়া উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে চাল, আটা, ডাল ও চিনি।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি টমেটো কিনতে ভোক্তাকে খরচ করতে হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা কয়েকদিন আগেও ছিল ১০০ টাকা। কেজিতে ৪০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না কোনো সবজি।
২৮ চালের কেজি ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকায়। পাইজাম চালের কেজি ৫৫ টাকায়, যা আগে বিক্রি হয়েছে ৫০-৫২ টাকা। নাজিরশালের কেজি ৬৮ টাকা, যা আগে বিক্রি হত ৬৫ টাকায়। তবে ভালো মানের নাজিরশাল চালের কেজি এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়, যা আগে কেজি ছিল ৭০ টাকা। বাজারে চিনির দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি, কিন্তু অনেক স্থানীয় দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা।
শীতকালীন সবজির মধ্যে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পাকা টমেটো ১৪০ টাকা, যা কিছুদিন আগেও ছিল ১২০ টাকা কেজি। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৪০-৬০ টাকা, স্থানভেদে কিছুটা কম-বেশিও বিক্রি হচ্ছে।
লাউ-কুমড়ার দামও চড়া, আকার অনুযায়ী পিস ৫০ থেকে ১০০ টাকা। আলু ৫০-৫৫ টাকা কেজি, নতুন আলু ৮০-১০০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা, বিভিন্ন জাতের বেগুন ৪০ থেকে ৮০ টাকা, মূলা ৩০-৫০ টাকা, পটল ৫০-৭০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০-৭০, কচুর লতি ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। স্থানভেদে লাল শাকের আঁটি ২০-৩০ টাকা, লাউ শাক ৪০-৬০ টাকা, মূলা শাক ২০-২৫ টাকা, পালং শাক ২০-৩০ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা আঁটি বিক্রি করতে দেখা গেছে।
অপরদিকে মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এছাড়া সোনালি জাতের মুরগির কেজি ২৭০ থেকে ৩০০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগি ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি কিনতে কেজিতে খরচ হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। এছাড়া গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। স্থানভেদে কম-বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানভেদে পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। অল্প কম-বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চাষের কই ও তেলাপিয়া। আকারভেদে রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। দুই থেকে আড়াই কেজির রুই-কাতলার দাম কেজিতে ৩৭৫ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া স্থানভেদে শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০ টাকা এবং শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, টেংরা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা এক হাজার ২০০ টাকা, বাইম এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।