ছবি : সংগৃহীত
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের উপর কর অবকাশ সুবিধা বা প্রণোদনা প্রত্যাহারের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেখান থেকে সরে এসেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ইজেড গুলোতে দেশি ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে কর অবকাশ সুবিধা নিতে হলে বিনিয়োগকারীদের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) গ্রহণ ও যথাযথভাবে হিসাব সংরক্ষণ করে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
চলতি মাসের ২৯ জুন জাতীয় সংসদে অর্থবিল-২০২৪ পাশ হওয়া কথা রয়েছে।
এর আগে ২৯ মে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের কর অবকাশ (প্রণোদনা) সহ মোট ৮টি সুবিধা রহিত করে নেয়। দশ বছর মেয়াদি এই সুবিধা তুলে নেওয়ার ফলে সাধারণ করহার ২০ শতাংশ থেকে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ বা তারও বেশি হওয়ার কথা রয়েছে। এসব অঞ্চলে স্থাপিত কোম্পানির ১০ বছরের জন্য লভ্যাংশ, মূলধনি আয়, রয়্যালটি, টেকনিক্যাল নো-হাউ এবং কারিগরি সহায়তা ফির ওপরও ১০ বছরের কর অব্যাহতি ছিল, এগুলোও বাতিল করা হয়।
এই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের জন্য ডেভেলপার কর্তৃক আমদানিকৃত যন্ত্রপাতির শুল্কমুক্ত সুবিধা বাতিল করে এক শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। শিল্প স্থাপনের যন্ত্রপাতিতেও এক শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের জন্য শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা বাতিল করা হয়।
এনবিআর জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তিনি কর সুবিধা প্রত্যাহারসহ ব্যবসায়ীদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। ওইদিনই প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী অর্থবিল সংশোধনে কর্মকর্তাদের এসব বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন।
দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার, এর মধ্যে ৯৭টি ইজেড অনুমোদন পেয়েছে। তার মধ্যে ৬৮টি সরকারি এবং ২৯টি বেসরকারি। এখন ১১টি ইজেড উৎপাদনে এসেছে, যার মধ্যে ৩টি সরকারি এবং ৮টি বেসরকারি। এর বাইরে, দেশে হাইটেক পার্ক রয়েছে ১৩টি।
বাংলাবার্তা/এআর