ছবি : সংগৃহীত
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ক্যানোপির ভেতরে স্বজনদের মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ের কারণে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ক্যানোপি চত্বর এখন বেহাল দশা। যাত্রীসেবার স্বাভাবিক পরিবেশ ফেরাতে স্বজনদের জন্য প্রবেশমূল্য নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যমতে, দিনে গড়ে শাহজালাল বিমানবন্দর ব্যবহারকারী যাত্রী ৩৫ হাজারের বেশি। যাত্রীদের অনেকের সঙ্গে একাধিক স্বজন বিমানবন্দরে ভিড় করেন। ফলে এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে সামাল দিতে হিমশিম খায় কর্তৃপক্ষ।
কয়েক দশকের পুরোনো ঢাকার এই বিমানবন্দর অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধাজনিত নানা সঙ্কট রয়েছে। এর মধ্যে যাত্রীদের ঘিরে স্বজনদের আগমন সেবা কার্যক্রমের স্বাভাবিক গতি কমিয়ে দেয়। এতে অনেকটা বেসামাল করে তোলে ক্যানোপি চত্বরের পরিবেশ।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর যাত্রীদের বের হওয়ার ক্যানোপি অংশ আরও বেগতিক হয়ে পড়ছে। ভেতরের সেবার মান বাড়লেও বাইরে নিয়ন্ত্রণহীন যাত্রী-স্বজনরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কখনো কখনো দিশেহারা হয়ে পড়েন নিরাপত্তা সদস্যরাও। মাইকিং করেও আনা যাচ্ছে না শৃঙ্খলা।
যাত্রীরা বলছেন, বিমানবন্দরের ভেতরের কার্যক্রম আগের চেয়ে কয়েকগুণ উন্নত হয়েছে। তবে যাত্রী বের হওয়ার অংশের অবস্থা হযবরল।
অপেক্ষমাণ কেউ কেউ এ প্রবেশসীমা মেনে চলতে চাইলেও অন্যরা বলছেন, নিরাপত্তা জোরদারের কথা। বর্তমান পরিস্থিতির দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে ট্যাক্সি বা পরিবহন সংশ্লিষ্টরাও।
এমন পরিস্থিতিতে যাত্রী ছাড়া স্বনেদের প্রবেশে ফি নির্ধারণ করার কথা বলছেন এভিয়েশন সংশ্লিষ্টরা।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ নাফিস ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, যাত্রী ছাড়া অন্যদের প্রবেশের ক্ষেত্রে উচ্চমূল্যের ফি নির্ধারণ করা হলে এই ভিড় অনেকটাই কমে যাবে।
বাংলাবার্তা/এমআর