ছবি : সংগৃহীত
আজ কার্তিক মাসের ৩০ তারিখ। বলায় কার্তিক শেষ। শুরু শীতের আমেজ। বাজারেও উঠছে প্রচুর শীতকালীন সবজি। কিন্তু সবজির বাজারের গরম কমেনি। এখনো চড়া প্রায় সব ধরনের সবজির দাম। ৮০ টাকার কমে মিলছে না সবজি। তবে দু-একটি সবজির দাম ৫০-৭০ টাকার মধ্যে। কমের এই তালিকায় আবার পেঁপে।
আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা মিলেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১শ টাকা কেজিতে। শিমের কেজি ১শ থেকে ১২০ টাকা, বরবটির কেজি ১শ, করলার কেজি ১শ টাকা, পেঁয়াজের নতুন ফুল-ফুলকার কেজি ১শ, লম্বা বেগুনের কেজি ৮০, ধুন্দলের কেজি ৮০, কচুর লতির কেজি ৮০, ঝিঙার কেজি ৮০, চিচিঙ্গার কেজি ৮০ ও পেঁপে প্রতি কেজির ৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
এছাড়া, প্রতি কেজি টমেটো ১৬০ টাকায়, ফুলকপি ছোট সাইজ ১টি ৫০ টাকা, বাধা কপি ৫০ টাকা, শসার কেজি ৮০ টাকা, পটলের কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৭০ টাকা, মুলার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাজরের কেজি ১৬০ টাকা ১৮০ টাকা, কাঁচামরিচের কেজি ১৮০ থেকে ২শ টাকা, ঢেঁড়সের কেজি ৮০ টাকা ও কাঁচকলার হালি ৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
অপরদিকে আজকে, বয়লায়, সোনালি, পাকিস্তানি ককসহ সব ধরনের মুরগির দাম নতুন করে বাড়েনি। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৯০ থেকে ২শ টাকা, সোনালি মুরগির কেজি ৩২০ টাকা, কক মুরগির কেজি ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেয়ার প্রতি কেজি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজির এমন বাড়তি দামে ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা। ঢাকার মহাখালী বাজারে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী নাজমুল হক বলেন, শীত প্রায় চলেই এসেছে ঢাকার বাইরে, এই সময় এসে সবজির দাম থাকবে সবচেয়ে কম কিন্তু বাজারে উল্টো চিত্র। এখনও ১০০/৮০ টাকার নিচে বাজারে সবজি নেই। বিক্রেতারা যে যার মতো করে দাম আদায় করে নিচ্ছে। বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ কখনও দেখি না।
মালিবাগের সবজি বিক্রেতা আব্দুল মালেক বলেন, সবজির দাম বেশি থাকলে আমাদের বিক্রি কম হয়। কারণ, যেই ক্রেতা এক আইটেমের এক কেজি সবজি নিত কিন্তু দাম বাড়তির কারণে সেই ক্রেতা আধা কেজি, আড়াশ করে সবজি কিনছে। সেই কারণে পাইকারি বাজার থেকে আমরাও তুলনামূলক কম পরিমাণে সবজি আনছি খুচরা বাজারে।
বাংলাবার্তা/এআর