ছবি: বাংলাবার্তা
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার তার শাসনামলের শেষ ৪-৫ বছর নিত্যপণ্যের বাজারে মানুষের নাভিশ্বাস উঠিয়েছে। ইচ্ছে মতো টাকা ছাপানোর কারণে মূল্যস্ফীতি এত বেড়ে যায়। এই অবস্থা থেকে এরইমধ্যে মুক্তির দেখা মিলছে। তবে তা খুবই ধীরে। এদিকে, অন্য পণ্যগুলো কিছুটা করে দাম কমছে; তবে ভোক্তাদের পুড়িয়ে মারছে আলু।
পণ্যটির দাম বাড়ছেই। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৭০ টাকা কেজির আলু এখন ৮০ টাকা হয়েছে। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা মিলেছে।
গত দুই বছর ধরেই আলুর দাম অস্বাভাবিক। আর ৬ মাস ধরে নিয়মিত বেড়েছে দাম। মাস দুয়েক আগে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। যা এখন একেবারে লাগামছাড়া। ৫ কেজি আলুর দাম যেখানে ছিল ১৫০ টাকা; সেখানে দুই কেজিও মিলছে না।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘শুধু দোকানে অভিযান চালিয়ে পণ্যটির দাম কমানো যাবে না। দাম বৃদ্ধির নেপথ্যের কারণগুলো বের করে সরকারকে শক্ত হাতে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগে আলু বেশি দামে বিক্রি হলেও এক-দুমাস হতো। কিন্তু এতো বেশি সময় ধরে এটা ছিল না।’
আলুর দাম এতো বাড়ার কারণ খুঁজছেন ক্রেতারা। বিক্রেতাদের যুক্তি, ‘বেশি দামে কিনে এনে তো কম দামে বিক্রি করতে পারব না।’
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ‘পাইকারি বাজারে আলুর দাম বাড়লে খুচরা বাজারেও বাড়বে। না হয় আলু বিক্রিই বন্ধ করতে হবে। কিন্তু পাইকারি বাজারে কেন বেশি দাম হলো।’
জানা গেছে, আলু চাষিদের ওপর দাদন প্রথার থাবা, বাজারকাঠামোতে কোল্ডস্টোরেজভিত্তিক মধ্যসত্ত্বভোগীচক্রের প্রভাব আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যাচ্ছে।
আলুর দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলুর মৌসুম এখন একবারে শেষদিকে। প্রতি বছর এ সময় দাম বাড়ে। তবে এ বছর শুরু থেকে আলু চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এরপর এখন বেড়ে আরও অস্থিতিশীল হয়েছে।
ফিরোজ আলম নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, নতুন আলু না আসা পর্যন্ত দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে ভারত থেকে আলু আসছে, তারপরও আলুর সংকট আছে।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন হিমাগারগুলোতে আলুর দাম কেজিপ্রতি ৭ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।
আলুর আড়তদার মো. সবুজ বলেন, হিমাগারে আলুর সংকট দেখা দেওয়ায় দাম বেড়েছে। মুন্সিগঞ্জ, বগুড়া, রাজশাহী, রংপুরে আলুর খুব সংকট চলছে, পাওয়া যাচ্ছে না। এ বছর অতিবৃষ্টি ও ঢলে দুই দফায় আলুর বিজ নষ্ট হওয়ায় সারাবছর আলুর দামে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।
বাংলাবার্তা/এমআর