ছবি : সংগৃহীত
ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলের শেষ ৩-৪ বছরে নিত্যপণ্যের বাজারে নাভিশ্বাস উঠে ক্রেতাদের। এই সময়ে সবজির দাম ছিল অস্বাভাবিক চড়া। এমনকি সবজির ভরপুর মৌসুম শীতেও কমেনি দাম। গত বছর শীতে তো অন্য সময়ের তুলনায় দাম আরও বেড়ে গিয়েছিল। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এবার শীতে কাঁচা বাজারে গিয়ে খুশি রাজধানী ঢাকার ক্রেতারা।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকার বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে দেখা গেছে, আজ (২৭ ডিসেম্বর) বড় সাইজের প্রতিটি ফুল কপি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট সাইজের দাম আরও কম। বাঁধা কপিও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, বেগুন বিভিন্ন প্রকার, সাইজ ও মানভেদে ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, শালগম ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পাকা টমেটো বিভিন্ন প্রকার, সাইজ ও মানভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচা টমেটোর কেজি বিভিন্ন প্রকার, সাইজ ও মানভেদে ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, মুলার কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া পেঁয়াজের ফুল প্রতি আঁটি ৭ থেকে ১০ টাকা, শিম বিভিন্ন প্রকার, সাইজ ও মানভেদে ৩০ থেকে ৫৫ টাকা, নতুন আলু ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকা, নতুন আলু বড় সাইজের ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচামরিচের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কয়েকটি সবজির দাম আবার চড়াই রয়েছে। এগুলোর মধ্যে- বরবটি প্রতি কেজি ৭৫ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটলের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শসা মান ও সাইজ ভেদে ৩৫ থেকে ৬০ টাকা, বিচিওয়ালা শিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা।
রাজধানীর মহাখালী বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, আজকে বাজারে অন্যান্য জিনিসের তুলনায় সবজির দাম অনেকটাই কম দেখতে পেলাম। দুই সপ্তাহ আগেও যেসব সবজির দাম বেশি ছিল সেই সবজিগুলোর দাম এখন কমেছে।
ইসলাম বলেন, মোটামুটি সব সবজির দামই আগের চেয়ে কমেছে। বরবটি, পটল, করলার এখন মৌসুম না হওয়ায় এগুলো ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাকি সব সবজির দাম আগের চেয়ে অনেক কম। কম দামে সবজি কিনে ক্রেতারা স্বস্তি পাচ্ছেন, আমাদের বিক্রির পরিমাণও আগের চেয়ে বেড়েছে।
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে সবজির যে দাম চলছে তার চেয়েও আরও কম দাম কারওয়ান বাজারে। এখান থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা কিনে সেটা পরিবহন খরচ, দোকান খরচ, লেবার খরচ ধরে পরে নতুন করে সবজির দাম নির্ধারণ করছে। যে কারণে তুলনামূলক কিছুটা বেশি দাম রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে।
বাংলাবার্তা/এমআর