
ফাইল ছবি
ব্যাংক খাতের তদারকি আরও শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ ব্যাংক চারটি নতুন বিভাগ চালু করেছে। এগুলো হলো— ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৯, পরিদর্শন পরিপালন বিভাগ, মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধ বিভাগ এবং ইসলামী ব্যাংকিং রেগুলেশনস অ্যান্ড পলিসি বিভাগ।
পরিদর্শন ও তদারকির নতুন কাঠামো
বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়। নতুন বিভাগগুলোর মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসহ সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতের তদারকি আরও জোরদার করা হবে।
ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগের পুনর্গঠনের আওতায় ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-১ এখন থেকে শুধুমাত্র সোনালী ও রূপালী ব্যাংকের তদারকির দায়িত্বে থাকবে। অন্যদিকে, নবগঠিত ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৯ রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের পরিদর্শনের দায়িত্ব পালন করবে।
পরিদর্শন পরিপালন বিভাগের ভূমিকা
পরিদর্শন কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করতে পরিদর্শন পরিপালন বিভাগ গঠন করা হয়েছে। এর মূল কাজ হবে—
- ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সুপারিশ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।
- সুপারিশ সংক্রান্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে হালনাগাদ পাঠানো।
- তদারকির জন্য নতুন নীতিমালা তৈরি বা পুরনো নীতিমালা সংশোধন করা।
- নির্দেশনা না মানলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা।
- প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা ও সভার আয়োজন করা।
অর্থপাচার প্রতিরোধে নতুন ব্যবস্থা
অর্থপাচার ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন রোধে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিভাগ গঠন করা হয়েছে। এটি—
- ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থপাচার নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম তদারকি করবে।
- অনিয়মের ভিত্তিতে জরিমানা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।
- নতুন আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমোদন ও বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিলের সুপারিশ করতে পারবে।
- নিয়ম লঙ্ঘনের প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার ক্ষমতা পেয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকিংয়ের জন্য পৃথক নীতিনির্ধারণী বিভাগ
ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রমকে আরও সংগঠিত ও কার্যকর করতে ‘ইসলামী ব্যাংকিং রেগুলেশনস অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট’ নামে নতুন বিভাগ চালু করা হয়েছে। এটি ইসলামী ব্যাংকের নীতিমালা প্রণয়ন, পর্যালোচনা ও কার্যকরকরণে দায়িত্ব পালন করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নতুন কাঠামো ব্যাংকিং খাতের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও কার্যকারিতা আরও বাড়াবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাবার্তা/এমএইচ