
ছবি: সংগৃহীত
রমজান মাসের শেষ প্রান্তে এসে ঈদের কেনাকাটা এখন তুঙ্গে। দিনের প্রচণ্ড গরম ও যানজট এড়াতে রাতের বেলাই হয়ে উঠেছে কেনাকাটার প্রধান সময়। তবে রাত গভীর হলেও ভিড়ের কমতি নেই রাজধানীর শপিংমলগুলোতে। ব্যবসায়ীদের মুখে ফুটেছে স্বস্তির হাসি, কারণ মধ্যরাত পর্যন্তও চলছে বেচাকেনার ব্যস্ততা।
রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউছিয়া, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্কসহ বিভিন্ন বিপণিবিতানে বিকেলের পর থেকেই বাড়তে থাকে ক্রেতাদের চাপ। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ভিড় আরও ঘন হয়ে ওঠে।
বুধবার (২৬ মার্চ) রাত ১টার দিকে নিউমার্কেট এলাকায় দেখা যায়, পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছেন ক্রেতারা। বাবা-মায়ের হাত ধরে এসেছে ছোট শিশুরাও। মধ্যরাতে এমন জমজমাট কেনাকাটা দেখে বোঝার উপায় নেই—এটি রাতের একটি সময়, যেখানে সাধারণত শহর ঘুমাতে শুরু করে।
ক্রেতারা জানান, সারাদিন রোজা রেখে কেনাকাটা করা বেশ কষ্টসাধ্য। এছাড়া অফিস, ব্যক্তিগত ব্যস্ততা ও তীব্র গরমের কারণে দিনের বেলায় শপিং করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই বিকেল গড়ানোর পর থেকে শুরু হয় কেনাকাটার ধুম, যা গভীর রাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
একজন ক্রেতা বলেন, "ঈদে সবার জন্যই কিছু না কিছু কিনতে হয়। দিনের বেলা সময় পাই না, তাই রাতেই মার্কেটে আসি। কিন্তু মধ্যরাতেও এত ভিড় হবে ভাবিনি!"
বিক্রেতারা জানান, শুরুতে বেচাকেনা কিছুটা কম থাকলেও এখন বাজার পুরোদমে জমে উঠেছে। রাতের বেলাতেও চলছে দফায় দফায় দর-কষাকষি। পোশাক, কসমেটিকস, জুয়েলারি থেকে শুরু করে সব দোকানেই ভিড় লেগেই আছে।
এক ব্যবসায়ী বলেন, "এখন আমাদের জন্য স্বর্ণযুগ চলছে! রাত ১২টা, ১টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখছি, তারপরও ক্রেতাদের চাপ কমছে না। আশা করছি, চাঁদরাত পর্যন্ত এমন বেচাকেনা চলবে।"
ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, কেনাকাটার উন্মাদনাও তত বাড়ছে। অনেকেই শেষ মুহূর্তে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন। ব্যবসায়ীরাও বলছেন, চাঁদরাত পর্যন্ত এমনই জমজমাট থাকবে বাজার।
দিন হোক বা রাত—ঈদ উদযাপনকে ঘিরে চলছে কেনাকাটার উৎসব। ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত শপিংমলগুলো জানান দিচ্ছে, ঈদের আনন্দ যেন শুরু হয়ে গেছে আগেভাগেই!
বাংলাবার্তা/এমএইচ