
ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘদিনের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপ, মূল্যস্ফীতি এবং বাণিজ্যিক জটিলতার মাঝেও বাংলাদেশের রফতানি খাত থেকে এসেছে স্বস্তির সংবাদ। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে দেশের রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ৪২৪ কোটি ৮৬ লাখ ডলারে— আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কেবল সংখ্যা নয়, বরং দেশের অর্থনীতির জন্য এক "ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা"।
তৈরি পোশাক খাত: আগের চেয়ে আরও দৃঢ়
বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড তৈরি পোশাক শিল্প আবারও তার জায়গা প্রমাণ করেছে। মার্চে আরএমজি রফতানি থেকে আয় হয়েছে ৩৪৪ কোটি ৯৯ লাখ ডলার—এক বছরে প্রবৃদ্ধি ১২.৪০ শতাংশ।
নিটওয়্যার খাত ১৮০ কোটি ৬৩ লাখ ডলার আয় করেছে, যা ১২.৯৩% বৃদ্ধি
ওভেন পোশাক ১৬৪ কোটি ৩৬ লাখ ডলার, বৃদ্ধি ১১.৮২%
খাতভিত্তিক বিশ্লেষণ: কারা এগিয়ে, কারা পিছিয়ে?
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য: এই খাতের রফতানিতে বিস্ময়কর ২২.৬৪% প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
হোম টেক্সটাইল: দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটিয়ে ৩.৩০% আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে, কৃষিপণ্য খাত ব্যতিক্রম। মার্চ মাসে এই খাতে আয় কমে ৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২৫.৭২% হ্রাস।
অর্থবছরের সমন্বিত চিত্র
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) বাংলাদেশ রফতানি করেছে ৩৭১৯ কোটি ডলারের পণ্য। এই সময়ের প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ, যা দেশের রফতানি খাতের পুনরুত্থানকে নির্দেশ করে।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে এবং কৃষিপণ্যের মতো খাতেও পুনরুদ্ধার সম্ভব হলে, সামগ্রিক রফতানি আয়ে রেকর্ড গড়তে পারে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে নীতিনির্ধারকদের কৌশলগত পরিকল্পনা এবং খাতভিত্তিক প্রণোদনা এখন জরুরি।
বাংলাবার্তা/এমএইচ