
ছবি: সংগৃহীত
ঈদের আমেজ কাটতেই রাজধানীর বাজারে আবারও চক্রের দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। কৌশলে এবং নীরবে বাড়ানো হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও ডিলার ও পাইকারি সিন্ডিকেটের কারসাজিতে ক্রেতাদের কাঁধে চাপানো হচ্ছে বাড়তি ব্যয়।
রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার ও মালিবাগের খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আলুর দাম কেজিপ্রতি বেড়ে ৩০ টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা ঈদের আগে ছিল ২৫ টাকা। মসুর ডালও বেড়ে হয়েছে ১৪০ টাকা কেজি। এমনকি ফার্মের ডিম ডজনপ্রতি ১২৮ থেকে বেড়ে ১৩৫-১৩৬ টাকায় পৌঁছেছে। বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৭৫ টাকা হলেও খোলা সয়াবিন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ ঈদের আগে এর দাম ছিল ১৬৮ টাকা।
এছাড়া আদা, রসুন, হলুদ, জিরা, এলাচ, লবঙ্গের মতো মসলা পণ্যের দামও লাগামহীনভাবে বাড়ানো হচ্ছে। বিশেষ করে আমদানি করা রসুন ২৪০ টাকা, দেশি রসুন ১৬০ টাকা, জিরা ৬৫০-৭৫০ টাকা এবং এলাচ ৫১০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে ঘাটতি নেই, তবে দাম বেড়েছে চক্রের নিয়ন্ত্রণে। রাজধানীর নয়াবাজারে ভ্যানচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, “গরিবদের একমাত্র ভরসা ছিল ডাল-আলুভর্তা, ডিম। এখন এগুলোর দামও হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “সরকার রোজায় তদারকি করেছিল বলেই তখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণ ছিল, কিন্তু এখন কেউ দেখছে না।”
বাংলাবার্তা/এমএইচ