
ছবি: সংগৃহীত
দেশের বাজারে সোনার দাম আবারো রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে, যা পূর্ববর্তী সমস্ত দামকে ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) জানিয়েছে, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম নতুন করে ৪ হাজার ৭১৩ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে, দেশের বাজারে সোনার ইতিহাসে এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় দাম।
এই দাম বৃদ্ধি তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে করা হয়েছে, এবং নতুন দাম আগামীকাল, ২২ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে, ২০ এপ্রিল, ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ২ হাজার ৬২৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে মাত্র দুদিন পর আবারও দাম বাড়ানো হয়েছে, যা নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে।
বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক শেষে এই দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এই দাম বৃদ্ধির সঙ্গে ২১ ক্যারেটের সোনার দামও ৪ হাজার ৪৯১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে, ১৮ ক্যারেটের সোনার দাম ৩ হাজার ৮৬০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪১ হাজার ১৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ৩ হাজার ২৮৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এটি দেশের সোনার বাজারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়, কারণ সোনার দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে সাধারণ মানুষ এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দামের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধু স্বর্ণের মূল্য সংরক্ষণ নয়, বরং একটি বড় বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে। সোনার দাম বৃদ্ধি শুধু বাংলাদেশেই নয়, বরং বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে ঘটছে, যা আরও অনেক দেশেও সোনার চাহিদা বাড়িয়েছে।
অপরদিকে, রূপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রূপা ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের রূপা ২ হাজার ৪৪৯ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রূপা ২ হাজার ১১১ টাকা রয়েছে। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রূপা ১ হাজার ৫৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সোনার এই মূল্যবৃদ্ধি বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ উপকরণ হিসেবে কাজ করতে পারে। তবে, বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যে তারা বাজারের পরিস্থিতি বুঝে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবেন, কারণ সোনায় বিনিয়োগ থেকে তাত্ক্ষণিক লাভ পাওয়া যায় না, এটি মূলত একটি নিরাপদ সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ