ছবি সংগৃহীত
ঢাকা: বুধবার (২৬ এপ্রিল) থেকে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা বস্তবায়ন শুরু হয়েছে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধে মাসব্যাপী কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল শুরু হবে। এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন ছাত্রী।
এবছর মোট ১১টি শিক্ষাবোর্ডে মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৮১০টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৭৯৮টি। এরমধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে কেন্দ্র ২ হাজার ২৪৪টি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৭ হাজার ৭৮৬টি। মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে মোট কেন্দ্র ৭১৬টি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৮৫টি। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে মোট কেন্দ্র ৮৫০টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৯২৭টি। এবার মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি।
এবছর পূর্নবিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা শুরু হওয়ার সময় সকাল ১০টা এবং শেষ হওয়ার সময় দুপুর ১টা। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার হলে অবশ্যই প্রবেশ করতে হবে।
ট্রেজারি থেকে নির্দিষ্ট তারিখের প্রশ্নপত্রের সকল সেট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে এবং প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নির্ধারিত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে এসএমএস এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে।
কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। শুধু কেন্দ্র সচিব মোবাইল ফোন ব্যাবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন ফোন)।
কোনো কারণে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে শিক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে না পারলে সেক্ষেত্রেও করণীয়ও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী এর পরে কেন্দ্রে উপস্থিত হলে, তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে ওইদিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।