ছবি সংগৃহীত
দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি)তে র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে এক সেমিস্টার করে বহিষ্কার ও আবাসিক হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। একইসাথে ২১ শিক্ষার্থীকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তি এই বিষয়টি জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মামুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাকিবুল হুদা তাজমুল ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। বাকী সতর্ক করা শিক্ষার্থীরা হলেন কৃষি অনুষদের একই ব্যাচের ২ শিক্ষার্থী এবং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২২ ব্যাচের ২১ শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ১৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সংলগ্ন অনুপম ছাত্রাবাসে র্যাগিং হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় প্রক্টরিয়াল টিম। ঘটনাস্থলে কৃষি অনুষদের ২৩ ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের ওপর র্যাগিংয়ের তথ্য-প্রমাণ পায় তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি র্যাগিং প্রতিরোধ মূল কমিটির সভায় উত্থাপিত হলে ২২ ব্যাচের ওই দুই শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের জড়িত থাকায় শাস্তির সুপারিশ করে কমিটি। সেইসঙ্গে আরও দুই শিক্ষার্থীকে কঠোরভাবে সতর্ক করে প্রশাসন।
অপর একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৭ সেপ্টেম্বর ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ড. এম এ ওয়াজেদ ভবনের পঞ্চম তলায় ৫৪৩ নম্বর রুমে ২৩ ব্যাচের সংগঠিত র্যাগিংয়ের ঘটনার বিশদভাবে পর্যালোচনা পূর্বক অভিযোগ সর্বসম্মতিক্রমে প্রমাণিত হওয়ায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় র্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিকার নীতিমালা-২০২১ এর ০৬ ধারা অনুযায়ী মূল কমিটি শাস্তির সুপারিশ করে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় র্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিকার নীতিমালা-২০২১ এর ০৬ ধারা অনুযায়ী মুল কমিটি শাস্তির সুপারিশ করায় ভাইস-চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মামুনুর রশিদ বলেন, র্যাগিং কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই অপসংস্কৃতির সাথে যারা যুক্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।