সংগৃহীত ছবি
বাংলাদেশের পর ভারতের পাঁচশতাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োগ্রাফি ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। বাংলাদেশের অথবা যৌথ প্রযোজনার আর কোনো ছবি ভারতের এতসংখ্যক প্রেক্ষাগৃহে একদিনে মুক্তি পায়নি। যা রীতিমতো ইতিহাসই বটে।
ভারতের ৫০৩টি প্রেক্ষাগৃহে ‘মুজিব’-এর দৈনিক ৬৮২টি শো প্রদর্শিত হবে বলে জানিয়েছেন বিএফডিসির গণসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রী বড়ুয়া।
তিনি বলেন, মুম্বাইয়ে সর্বোচ্চ ১০৩টি হলে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। এরপর যথাক্রমে কলকাতায় ১০০টি ও দিল্লির ৭৫ হলে দেখা যাবে ছবিটি। ভারতের মোট ১২টি অঞ্চলে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে।
এর আগে, সিনেমাটির মুক্তি উপলক্ষে ২৫ অক্টোবর মুম্বাইয়ে অবস্থিত ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ইন্ডিয়ান সিনেমার থিয়েটার হলে এক বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে সিনেমা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন ও প্রতুল কুমার। উপস্থিত ছিলেন সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা আরিফিন শুভ, অদিতি রাও হায়দারি, সিদ্ধার্থ, নাসিরুদ্দিন শাহ, শ্রেয়া ঘোষাল প্রমুখ।
ছবিটির একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন শ্রেয়া ঘোষাল। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এই ছবির অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত। এটা বাস্তব জীবনের গল্প এবং এক মহান ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের একটা উপহার বলা যেতে পারে ছবিটিকে। আমি মনে করি, এটা এমন এক গল্প যেটা পুরো জাতির সামনে আনা প্রয়োজন। সত্যিই এর অংশ হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি।’
প্রিমিয়ার শেষে পর্দার ‘মুজিব’ তথা আরিফিন শুভ বলেন, ‘শ্যাম বেনেগাল স্যারের সঙ্গে এটা আমার চার বছরের একটা জার্নি। যেটা আমি সারা জীবন মনে রাখবো। আর এই যে ইতিহাস বা গল্প, এটা শুধু বাংলাদেশের না। ৪৭ থেকে ৫২ এবং এরপর ৭১ সাল; ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক পুরনো। এটা যদিও আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী, কিন্তু এখানে এমন অনেক কিছু আছে, যেটা দেখে আপনারা বুঝতে পারবেন দুই দেশ মিলে পরস্পরের জন্য কত কী করেছে।’
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর দেশের ১৫৩টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘মুজিব’। দর্শক সাড়ায় দ্বিতীয় সপ্তাহে হল বেড়ে দাঁড়ায় ১৬৪-তে এবং মাল্টিপ্লেক্সে শো বাড়ে দ্বিগুণ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় ৮৩ কোটি টাকা বাজেটে নির্মিত হয়েছে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। এতে আরিফিন শুভ ছাড়াও আছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, নুসরাত ফারিয়া, রিয়াজ আহমেদ, জায়েদ খান, দিলারা জামান, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, খায়রুল আলম সবুজ, ফেরদৌস আহমেদ, দীঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ, মিশা সওদাগরসহ শতাধিক শিল্পী।