ছবি : সংগৃহীত
হাতে আর মাত্র দুই মাস। আগামী সেপ্টেম্বরেই মা হতে চলেছেন বলিউডের মাস্তানি। সবকিছু ছেড়ে এখন মাতৃত্বের জার্নি উপভোগ করছেন আমাদের দীপিকা কিছুদিন আগেই বিগ বাজেটের হলিউড মুভিও ছেড়ে দিয়েছেন নায়িকা। আর এবার তাকে নিয়ে সামনে এল নতুন তথ্য। কেরিয়ারের মধ্য গগনে এসে দীপিকা যে এই সিদ্ধান্ত নেবেন তা ধারণাই করেনি কেউ। ঠিক কী করেছেন দীপু?
এটা আগেই শোনা গেছিল যে, সন্তান জন্মের পর একটা লম্বা সময় বিরতি নেবেন তিনি। ঐশ্বর্য, অনুষ্কার দেখানো পথেই হাঁটবেন অভিনেত্রী। কারণ দীপিকা মনে করেন, একটা সন্তানকে বড় করে তুলতে মায়ের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। তবে এখানেই শেষ নয়। এবার খবর আসছে, নিজের সন্তানের জন্য নাকি ন্যানিও রাখতে চান না রণবীর পত্নী। বাকি সেলেব মায়েদের পথে না হেঁটে, নিজের সন্তানের সমস্ত কাজ তিনি নিজেই করতে চান।
এখন মনে হতেই পারে যে, এ আর এমন কী ব্যাপার? এ তো সব মায়েরাই করে। তাহলে বলি, বলিউডের ট্রেন্ড হল বাচ্চার জন্য ন্যানী রাখা। আর সেই ট্রেন্ড কিন্তু এখন বলিউড ছাড়িয়ে সাধারণ জীবনেও ঢুকে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বলিউডের সেরা একজন অভিনেত্রীর এই পদক্ষেপ কিন্তু সত্যিই একটা বিরাট বিষয়। হয়ত দীপিকার এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে আম জনতার উপরেও।
এমনিও চিকিৎসকরা সবসময়ই বলেন, একটা বাচ্চার শারিরীক এবং মানসিক বিকাশের জন্য তার মা এবং বাবার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। জন্মানোর পর একটা শিশুর সবচেয়ে বেশি দরকার হয় তার মা কে। সেখানে সেলেবরা তো হামেশাই বাচ্চাকে ন্যানির দায়িত্বে ছেড়ে দেন। আর তাদের দেখাদেখি সেই ট্রেন্ড ঢুকে গেছে আম জনতার জীবনেও। কিন্তু সেটা কি ঠিক? বোধহয় নয়। এবার দেখুন, যাদের একান্তই উপায় নেই, যারা ওয়ার্কিং ওম্যান বা যারা সিঙ্গেল মাদার তাদের তো ন্যানি রাখতেই হবে। সেক্ষেত্রে বিষয়টা একেবারেই আলাদা। কিন্তু যাদের উপায় রয়েছে তারা অবশ্যই বাচ্চাকে আগলে রাখুন। সন্তানকে নিজের হাতে খাওয়ান, নিজে সন্তানের কাজ করুন। চিকিৎসকরা বলছেন, এতে মা ও সন্তানের বন্ডিং অনেক বেশি মজবুত হয়। যা সন্তানের বেড়ে ওঠার জন্য হেল্পফুল। মনে রাখবেন, আপনার সন্তান কেবল আপনারই সন্তান নয়। সে গোটা দেশের ভবিষ্যৎ।
বাংলাবার্তা/এমআর