
সংগৃহীত
হলিউডের দর্শকদের কাছে বরাবরই ফ্যান্টাসি সিনেমার আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। সে কথাই যেন আবারও প্রমাণ করছে বক্স অফিসের সাফল্য তালিকা। ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমাগুলোর দিকে তাকালেই স্পষ্ট হয়ে যায়, হলিউডে ফ্যান্টাসি ঘরানার সিনেমার জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবসাসফল সিনেমা হিসেবে পরিচিত জেমস ক্যামেরনের ‘অ্যাভাটার’—যেটি মাত্র ২৩৭ মিলিয়ন ডলার বাজেটে নির্মিত হলেও আয় করেছে প্রায় ২.৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। একইভাবে, এই সিরিজের দ্বিতীয় কিস্তি ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ বিশ্বব্যাপী ২.৩২ বিলিয়ন ডলার আয় করে শীর্ষস্থানীয় সিনেমার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
এই বছরের ফ্যান্টাসি সিনেমার ঢল
হলিউড প্রযোজকরা দর্শকদের রুচি বুঝেই এবারও একগুচ্ছ ফ্যান্টাসি সিনেমা নিয়ে আসছেন। যদিও বছর শুরুর দিকে কিছু ফ্যান্টাসি সিনেমা আশানুরূপ সাফল্য পায়নি। যেমন, ‘ওল্ফ ম্যান’ এবং ‘ইন দ্য লস্ট ল্যান্ডস’ বক্স অফিসে হতাশ করেছে। তবে বছরের বাকি অংশে আসছে বেশ কিছু প্রতীক্ষিত ফ্যান্টাসি সিনেমা—যার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’, যা মুক্তি পাবে ১৯ ডিসেম্বর।
এছাড়া মুক্তির তালিকায় রয়েছে:
‘উইকেড: ফর গুড’ (২১ নভেম্বর) – গত বছরের ব্লকবাস্টার ‘উইকেড’-এর সিকুয়াল।
‘মরটাল কমব্যাট ২’ (২৪ অক্টোবর) – মার্শাল আর্ট ফ্যান্টাসি ঘরানার জনপ্রিয় সিনেমার দ্বিতীয় কিস্তি।
‘স্নো হোয়াইট’ – গাল গাদোত অভিনীত বহুল প্রতীক্ষিত মিউজিক্যাল ফ্যান্টাসি।
‘আ মাইনক্র্যাফ্ট মুভি’ – জেসন মোমোয়া অভিনীত গেম-ভিত্তিক অ্যাডভেঞ্চার ফ্যান্টাসি।
‘দ্য ব্রাইড’ – ক্রিস্টিয়ান বেইল ও জেসি বাক্লের অভিনয়ে মনস্টার ফ্যান্টাসি।
দর্শকপ্রিয়তার কারণ কী?
বিশ্লেষকদের মতে, ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট, রোমাঞ্চকর গল্প এবং বাস্তবতার বাইরে গিয়ে কল্পনার জগতে ভ্রমণ করার সুযোগ—এসব কারণেই ফ্যান্টাসি সিনেমা দর্শকদের মন জয় করে নেয়। হলিউডের এই নতুন ফ্যান্টাসি ঢেউ কি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে? সেটাই এখন দেখার বিষয়!
বাংলাবার্তা/এমএইচ