
ফাইল ছবি
গত রাতে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অস্কার বিজয়ী সঙ্গীতশিল্পী এ আর রহমান। অবশ্য আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এরমধ্যে সঙ্গীত তারকার স্ত্রী সাইরা বাণু তার ভক্তদের কাছে অনুরোধ করেছেন, তাকে ‘সাবেক স্ত্রী’ হিসেবে সম্বোধন না করতে।
সোমবার (১৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
রোববার সাইরা এক ভয়েস নোট শেয়ার করেন যেখানে তিনি পরিস্থিতি নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন। শুরুতে সালাম দিয়ে তিনি বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আমি তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। আমি খবর পেয়েছি তিনি বুকের ব্যথা অনুভব করেছিলেন এবং অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করানো হয়েছে, তবে আল্লাহর রহমতে এখন তিনি ভালো আছেন, তিনি ভালো আছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সবাইকে জানাতে চাই যে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ডিভোর্স করিনি, আমরা এখনও স্বামী-স্ত্রী, শুধু যে কারণে আমরা আলাদা হয়েছি, তা হলো গত দুই বছর আমি ভালো অনুভব করছিলাম না এবং আমি চাইনি তাকে অতিরিক্ত চাপ দিতে, কিন্তু দয়া করে সাবেক স্ত্রী বলবেন না। আমরা শুধু আলাদা হয়েছি, তবে আমার প্রার্থনা সবসময় তার সঙ্গে থাকবে এবং আমি একটি কথা বলতে চাই সকলের কাছে, বিশেষ করে তার পরিবারের কাছে, দয়া করে তাকে অতিরিক্ত চাপ দেবেন না এবং তার যত্ন নেবেন। ধন্যবাদ, আল্লাহ হাফিজ।
আজ সকালে এ আর রহমানের মুখপাত্র জানান, ‘গতরাতে সঙ্গীত তারকা অসুস্থ বোধ করেছিলেন এবং চেক-আপের জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন, যেখানে ডাক্তাররা জানান তার অসুস্থতার কারণ হলো ডিহাইড্রেশন, যা রমজান মাসে উপবাসের কারণে আরও বেড়ে যায়।
মুখপাত্র এনডিটিভিকে বলেন, ‘তিনি গতকাল লন্ডন থেকে ফিরেছিলেন এবং অসুস্থ বোধ করেছিলেন, তাই গত রাতে চেক-আপের জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তবে ডাক্তারদের মতে, এটি ডিহাইড্রেশনের কারণে, কারণ তিনি রমজান মাসে উপোস করছিলেন।
গত বছর, এ আর রহমান এবং তার স্ত্রী সাইরা বাণু তাদের বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছিলেন। তারা ২৯ বছর সংসার করেছেন এবং তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে - ছেলে এ আর আমিন, এবং দুই মেয়ে খদিজা রহমান ও রাহিমা রহমান।
বিচ্ছেদের খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর, এ আর রহমান এক্স (সাবেক টুইটার)-এ একটি হৃদয়বিদারক পোস্ট শেয়ার করেন, যেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমরা ত্রিশটি বছর পূর্ণ করার আশা করেছিলাম, কিন্তু সবকিছুরই একটি অদৃশ্য শেষ রয়েছে। এমনকি খোদার সিংহাসনও হয়তো ভেঙে পড়তে পারে ভাঙা হৃদয়ের বোঝা সহ্য করতে। তবুও, এই ভেঙে পড়ার মধ্যে, আমরা অর্থ খুঁজে বের করার চেষ্টা করি, যদিও টুকরোগুলো আর একত্রিত হতে পারে না। আমাদের বন্ধুদের ধন্যবাদ, যারা আমাদের গোপনীয়তা সম্মান করেছেন এবং এই নাজুক অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে চলতে আমাদের সহানুভূতি দেখিয়েছেন।’
বাংলাবার্তা/এমএইচ