
সংগৃহীত
হলিউডের আলোচিত সিনেমাগুলোর তালিকায় এই মুহূর্তে শীর্ষে রয়েছে ‘স্নো হোয়াইট’। ডিজনির জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড ক্লাসিক ‘স্নো হোয়াইট অ্যান্ড দ্য সেভেন ডোয়ার্ফস’-এর এই লাইভ-অ্যাকশন রিমেক শুরু থেকেই নানা কারণে বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল। তবে সাম্প্রতিক প্রিমিয়ারের পর সিনেমাটি প্রশংসা কুড়িয়েছে সিনেবোদ্ধাদের কাছ থেকে।
সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মার্ক ওয়েব, যিনি এর আগে ‘৫০০ ডেজ অফ সামার’ ও ‘দ্য অ্যামেজিং স্পাইডার-ম্যান’ পরিচালনা করেছেন। ডিজনির এই নতুন প্রয়াসে র্যাচেল জেগলার অভিনয় করেছেন স্নো হোয়াইটের ভূমিকায়, আর গ্যাল গ্যাদত হয়েছেন দুষ্ট রানী। নতুন সংযোজন হিসেবে এতে রয়েছেন অ্যান্ড্রু বার্নাপ, যিনি রাজকুমারের পরিবর্তে স্নো হোয়াইটের নতুন প্রেমিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
বিতর্কের শুরু ও সমালোচনা
সিনেমাটি ২০২০ সালে শুটিং শুরুর পরিকল্পনা থাকলেও মহামারির কারণে পিছিয়ে যায়, শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালে শুটিং শুরু হয়। তবে বিতর্কের সূত্রপাত আরও আগেই। মূল অ্যানিমেটেড সংস্করণকে ‘সেকেলে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন জেগলার, যা ডিজনি ভক্তদের একাংশের অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তার বক্তব্য ছিল, “রাজপুত্র এসে স্নো হোয়াইটকে রক্ষা করবেন না। বরং সে নিজেই নিজের পথ তৈরি করবে এবং নেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখবে।”
তাছাড়া, সাত বামন চরিত্রের পরিবর্তে সিজিআই প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। বিশেষ করে ‘গেম অব থ্রোনস’-এর তারকা পিটার ডিঙ্কলেজ এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেন, যা সিনেমাটিকে আরও আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসে।
প্রিমিয়ারে প্রশংসার জোয়ার
তবে সব বিতর্ক পেছনে ফেলে সিনেমার প্রিমিয়ার শেষে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াই বেশি আসছে। অনলাইন সমালোচক ক্রিস্টোফার রেটেস মন্তব্য করেছেন, “১৯৩৭ সালের অ্যানিমেটেড সিনেমার জাদু পুনরুদ্ধার করেছে এই রিমেক। র্যাচেল জেগলার স্নো হোয়াইট হিসেবে অসাধারণ।”
ফিল্মহাউন্ডস-এর সম্পাদক পল ক্লেইন সিনেমাটির প্রশংসা করলেও সিজিআই বামন চরিত্রগুলোর বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করেন, “গল্পের শুরুটা দুর্দান্ত, রানীর চরিত্র দারুণ ফুটিয়ে তুলেছেন গ্যাল গ্যাদত। কিন্তু বামন চরিত্রগুলোর জন্য সিজিআই ব্যবহার সত্যিই বিরক্তিকর।”
মুক্তির তারিখ ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২১ মার্চ বিশ্বব্যাপী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে ‘স্নো হোয়াইট’। ডিজনির লাইভ-অ্যাকশন রিমেকগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম প্রতীক্ষিত সিনেমা বলে ধরা হচ্ছে।
প্রশংসা ও সমালোচনা দুই-ই থাকলেও, ডিজনি কি পারবে এই রিমেক দিয়ে দর্শকদের মন জয় করতে? সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।
বাংলাবার্তা/এমএইচ