একই বছর শাহরুখ-সালমানকে হারাবে বলিউড! জ্যোতিষীর ভবিষ্যদ্বাণী

বলিউডের সুপারস্টার শাহরুখ খান ও সালমান খান—এদের নাম এখনো ইন্ডাস্ট্রির কিংবদন্তি হিসেবে শোনা যায়। তিন দশক ধরে তাদের রাজত্বে বলিউডের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। তাদের জনপ্রিয়তা ও সিনেমার সফলতায় ফ্যানরা প্রতিনিয়ত উত্তেজিত থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি একটি বিতর্কিত ভবিষ্যদ্বাণী তাদেরই নিয়ে আসছে চাঞ্চল্য সৃষ্টি।

ভারতের প্রখ্যাত সেলিব্রিটি জ্যোতিষী সুশীল কুমার সিং শাহরুখ এবং সালমানকে নিয়ে একটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, যা এখন সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার ঝড় তুলেছে। সুশীল সিং দাবি করেছেন, আগামী ২০২৫ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে শাহরুখ খান ও সালমান খান একসঙ্গে বলিউড থেকে হারিয়ে যাবেন। সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হল, তিনি জানান যে, ৬৭ বছর বয়সে তারা দুজনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বেন।

সিদ্ধার্থ কননকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সুশীল সিং বলেছেন, "শাহরুখের সময় এখন ভালো যাচ্ছে, কিন্তু সালমানের জন্য সময়টা ভালো নয়। ২০২৫ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে তার জীবনে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে না। বরং সে সময়ের মধ্যে তার এক ভয়ানক অসুখ হবে, যার নাম শুনে মানুষ ভয় পায়।" তিনি আরও জানান, "দুজনের বয়স যখন ৬৭ বছর হবে, তখন তারা দুজনেই মৃত্যুবরণ করবেন।" এছাড়া, সালমানের বিষয়ে আরও দাবি করেন যে, তিনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন না এবং তার শেষ সময়টা খুব কষ্টে কাটবে।

এই ভবিষ্যদ্বাণীটি শোনার পরই সামাজিক মাধ্যমে একে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয়েছে। শাহরুখ ও সালমানের অসংখ্য ভক্তরা হতবাক হয়ে গেছেন এবং অনেকেই এই ভবিষ্যদ্বাণীকে সমালোচনা করেছেন। এক ফ্যান সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, "এটা কি ধরনের মানুষ, যিনি অন্যদের জীবন নিয়ে এমন মন্তব্য করতে পারেন?" অন্য একজন আবার মন্তব্য করেছেন, "এমন একটি ভবিষ্যদ্বাণী শুনে আমি শঙ্কিত। এই মানুষগুলোর পরিবারও আছে, জীবন নিয়ে এমন মন্তব্য করা উচিত নয়।"

প্রসঙ্গত, শাহরুখ ও সালমান বলিউডের সর্বকালের অন্যতম সেরা অভিনেতা এবং তাদের অভিনীত সিনেমাগুলো ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসে সর্বোচ্চ আয় করেছে। তাদের প্রতি ভক্তদের অনুরাগের শেষ নেই, এবং তাদেরকে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী এমন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে যা অনেকেই ভালোভাবে নেননি।

এদিকে, সুশীল সিংয়ের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে বিতর্কের মধ্যে তাদের ভক্তরা সামাজিক মাধ্যমে এসব মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং তাদেরকে ভালোবাসা ও সম্মান জানিয়েছেন। যদিও এ ধরনের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত মতামত, তবুও এতে যে আলোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, তা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন একটি প্রসঙ্গ হিসেবে আলোচিত হচ্ছে।