
ছবি: সংগৃহীত
বলিউড সুপারস্টার সালমান খান নাকি শুটিংয়ে অনিয়মিত। ভাইজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেটে ইচ্ছেমতো আসেন, যখন খুশি চলে যান! পরিচালকের নির্দেশের তোয়াক্কা করেন না। বাকিদের কথাও ভাবেন না! অর্থাৎ সেটেও ‘দাদাগিরি’ চলে তার।
সর্বশেষ ‘সিকান্দার’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়েও নাকি এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। সিনেমা মুক্তির দু’দিন আগে এমন অভিযোগে নতুন করে বিদ্ধ অভিনেতা। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হতেই মুখ খুলেছেন অভিনেতা।
প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, ‘আমি যদি অনিয়ম করতাম তাহলে আমার ঝুলিতে ১০০টিরও বেশি সিনেমা থাকত না।’
আত্মপক্ষ সমর্থন করে অভিনেতা বলেন, ‘প্রত্যেক অভিনেতার নিজস্ব নিয়ম আছে, আমারও রয়েছে। অনেক অভিনেতা ভোর ৬টা থেকে শুটিং শুরু করতে পারেন। আমি সাড়ে ১১টা-১২টা থেকে শুরু করি। কারণ, ঘুম ভাঙার পর আমার অনেক কাজ থাকে। যেমন, শরীরচর্চায় বেশ কিছুটা সময় খরচ হয়। প্রয়োজনীয় নথিতে স্বাক্ষর করা, দরকারি ফোন ধরা থাকে। এর পর এক কাপ কফি নিয়ে সামান্য সময়ের জন্য বসি। নিজের দৃশ্য ঝালিয়ে নিই। তার পর সেটে যাই।’
সালমানে আক্ষেপ, তার দেরিতে আসা সবার চোখে পড়ে, তিনি যে চেয়ারে বসার সময় পর্যন্ত পান না, সেটা কারও চোখে পড়ে না!
ভাইজান বলেন, ‘সেটে আসার পর আমি কোথাও যাই না। চেয়ারে বসার সময় পর্যন্ত পাই না। যেখানে কাজ করি সেখানেই একটা তাঁবু খাটিয়ে দেওয়া হয়, আমার প্রয়োজন মেটাতে। ’
সালমান জানিয়েছেন, কেন যে তার নামে এত বদনাম—সেটা তিনি নিজেই জানেন না।
তার কথায়, ‘এ সবকিছুর জন্য আমায় কিছুই করতে হয় না। কিছু ব্যক্তি নিজ দায়িত্বে এই ধরনের গুজব ছড়িয়ে দেন। লোকে বিশ্বাসও করে! কত শক্ত দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়, কত স্টান্ট দিতে হয়, সেসব কথা কেউ বলেন না!’
এদিকে সালমানের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন ‘সিকান্দার’-এর নায়িকা রাশমিকা মান্দনা। তিনিও জানিয়েছেন, শুটিংয়ের আগে তার নায়ক সম্পর্কে অনেক কথা শুনেছিলেন। সালমানের সঙ্গে কাজের পর তার সেই ভুল ধারণা ভেঙে গেছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ