
ছবি: সংগৃহীত
সমাজে নারীদের জন্য এক বয়স পর্যন্ত বিয়ে করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে ২০-এর কোঠা পেরোলেই তাদের শুনতে হয়, ‘বিয়েটা কবে হচ্ছে?’ তবে বর্তমান যুগে নারীরা সেই পুরানো ধারা ভেঙে নতুন পথে হাঁটছেন। অনেকেই নির্দিষ্ট বয়সের বাইরে গিয়ে বিয়ে করছেন, আবার কেউ কেউ একাকী থেকেও সুখী। এমন সাহসী নারীরা প্রমাণ করেছেন যে, একাকিত্বে তারা কোনোভাবেই ভোগেন না। বরং, তারা তাদের জীবন নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছেন এবং অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন অন্য নারীদের জন্য।
এবার দেখে নেওয়া যাক, বলিউডের এই পাঁচ সাহসী এবং একাকী নারীর কথা, যারা সমাজের নির্ধারিত ছক ভেঙে একাই সুখী থাকার পথ বেছে নিয়েছেন।
১. সুস্মিতা সেন
বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেনকে চিনে না এমন মানুষ কমই আছেন। তিনি বহু পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়লেও, এখনো বিয়ে করেননি। সুস্মিতা, রণদীপ হুদা, মিলিন্দ সোমান, বিক্রম ভাট, এবং ললিত মোদির মতো ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জনে ছিলেন। তবে, তার সবশেষ সম্পর্ক কাশ্মীরি মডেল রোহমান শলের সঙ্গে ছিল, যা আর টেকেনি। তবে, সুস্মিতা দত্তক নিয়েছেন দুই কন্যাসন্তান এবং তাদের সঙ্গে সুখী জীবন কাটাচ্ছেন। অনেক নারীকে তিনি প্রেরণা দিয়েছেন, দেখিয়েছেন যে একা থেকেও পূর্ণতা পাওয়া সম্ভব।
২. টাবু
বলিউডের এক শক্তিশালী অভিনেত্রী টাবু। বয়সের সংখ্যার দিকে তাকালে তাকে ৫২ বছরের হলেও, তার রূপ এবং ব্যক্তিত্ব এখনো বহু পুরুষকে মুগ্ধ করে। ৩০ বছর ধরে বলিউডে তার পথচলা। টাবুর সম্পর্ক নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও, তিনি কখনোই প্রকাশ্যে কোনো সম্পর্কে ছিলেন না। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, "একাকী থাকা আমি নেতিবাচক ভাবে দেখি না। সুখ আসতে পারে বহু জায়গা থেকে। ভুল সঙ্গীর সঙ্গে সারাজীবন কাটানো আরও যন্ত্রণাদায়ক।"
৩. আমিশা প্যাটেল
বলিউডে ক্যারিয়ার শুরু করার সময় ঝড় তুলেছিলেন অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বারবার আলোচনা হয়েছে। তবে, তিনি কিছুদিন পরই বলিউড থেকে দূরে সরে যান এবং বেশ কয়েকটি সম্পর্কের গুঞ্জনও উঠেছিল তার নাম নিয়ে। তবুও, একাকী জীবন যাপন করছেন তিনি। ‘গদর ২’ সিনেমার মাধ্যমে প্রায় ২০ বছর পর আবারও আলোচনায় আসেন আমিশা, এবং তার সাহসী একাকী জীবনকে নিয়েও তিনি প্রশংসিত।
৪. নার্গিস ফাকরি
বলিউডে তার প্রথম সিনেমা ‘রকস্টার’ দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন নার্গিস ফাকরি। রণবীর কাপুরের সঙ্গে তার পর্দার রসায়ন ছিল বেশ প্রশংসিত। পর্দার বাইরেও তাদের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। তবে, এক সময় তার সম্পর্ক উদয় চোপড়ার সঙ্গে ছিল, যা ভেঙে যায়। এরপর তিনি একাকী থাকার সিদ্ধান্ত নেন। নার্গিস ফাকরি প্রমাণ করেছেন যে একা থাকা অনেক সময়ই সুখী জীবন যাপনের একটি পথ হতে পারে।
৫. রেখা
বর্ষীয়ান অভিনেত্রী রেখার জীবনটা ছিল অনেকটাই আলোচিত এবং রহস্যময়। ১৯৯০ সালে শিল্পপতি মুকেশ আগারওয়ালের সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন রেখা। তবে, মাত্র সাত মাসের মাথায় তার স্বামী আত্মহত্যা করেন। তারপর থেকে একাকী জীবন যাপন করেন রেখা। তার জীবনে অমিতাভ বচ্চনের প্রতি ভালোবাসা ছিল বলে শোনা যায়, তবে তিনি কখনো বিয়ে করেননি। আজও তার সিঁথিতে সিঁদুর পরার কারণে অনেকেই মনে করেন, রেখা অমিতাভকে ভালোবেসে বিয়ের পথে যাননি।
এই বলিউড তারকারা প্রমাণ করেছেন, একাকী থাকা কোনোভাবেই নেতিবাচক নয়। তারা নিজের জীবন নিজের মতো করে বাঁচছেন এবং অন্যদেরও সাহস জোগাচ্ছেন। তারা বুঝিয়েছেন, সম্পর্কের জন্য কাউকে নিজেকে বদলাতে হবে না এবং একাকী থেকেও জীবনে সুখী হওয়া সম্ভব।
বাংলাবার্তা/এমএইচ