
ছবি: সংগৃহীত
দেশের শোবিজ অঙ্গনে হঠাৎ করেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন মডেল ও অভিনেত্রী নিদ্রা দে নেহা। সম্প্রতি অনৈতিকতা এবং অপেশাদারিত্বের অভিযোগ তুলে ইন্ডাস্ট্রি থেকে বিদায় নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। ঠিক এর আগ মুহূর্তেই শাকিব খানের নতুন সিনেমা ‘তাণ্ডব’-এ তার যুক্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। ফলে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন—নেহা কি তবে ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় কাজ করছেন না?
সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নেহা এক সাক্ষাৎকারে খোলাখুলি জানালেন, কীভাবে তাকে সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং কী পরিস্থিতিতে তিনি ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার ভাষায়, “একদিন শুটিং করেছি। এরপর আর সুযোগ দেওয়া হয়নি। অথচ আমার বাবা ক্যানসারের রোগী। তখন তাকে চিকিৎসার জন্য মুম্বাই নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমি সেই পরিকল্পনা বাতিল করে টানা দুই মাসের ডেট দিই। আমার ফ্লাইটের টিকিটও কেটে রাখা ছিল, তাও বাতিল করি। ঈদের আগেই একদিন শুটিংয়ে অংশ নেই।”
তিনি বলেন, ছবিটি নিয়ে এক পত্রিকার সাংবাদিক নতুন কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ছবির বিষয়ে জানান। সেখান থেকেই শুরু হয় ভুল বোঝাবুঝি। “নিউজটি হওয়ার পর আমাকে ছবির প্রধান অভিনেত্রী বানিয়ে প্রচার করা হয়। আমি তখনও জানতাম না, কিন্তু টিমের কয়েকজন ভাবলেন আমি ইচ্ছা করে খবরটি করিয়েছি। আমার সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক শুরু করে। আমি বলি, আমি করিনি। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করেনি,” বলেন নেহা।
নেহার দাবি, এভাবে কাউকে বাদ দেওয়া একেবারেই অপেশাদারতা। “তারা অফিসিয়ালি কোনো সময় বলেনি যে ছবির খবর গোপন রাখতে হবে। কাজ শুরু হয়েছে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর ছাড়াই। তাড়াহুড়ো করে কাজ শুরুর ফলে চুক্তি সই করারই সুযোগ হয়নি। ঈদের পর চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের কথা ছিল। তাহলে তারা কীভাবে ধরে নিল আমি ইচ্ছা করে খবর করিয়েছি?”—প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “ধরা যাক আমি সংবাদটি করিয়েছি, তবু তারা এমন প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে না। একটা কাজের পেশাদার দল হলে তারা এই বিষয়ে বসে আলোচনা করত। কেবল অনুমান করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া অনৈতিক ও অন্যায়।”
নেহার অভিযোগে স্পষ্ট, তিনি একাধিক দিক থেকে হতাশ হয়েছেন। পেশাদার আচরণ, শিল্পী হিসেবে সম্মান, এবং ব্যক্তিগত প্রতিকূলতাকে অগ্রাহ্য করেও যেভাবে তিনি সিনেমাটির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তা সত্ত্বেও এমন আচরণ পেয়ে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত।
বাংলাবার্তা/এমএইচ