
ছবি: সংগৃহীত
প্রখ্যাত অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম, যিনি হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ সিনেমার মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে পা রেখেছিলেন, বর্তমানে সিনেমার পর্দায় তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। যদিও তার ঝুলিতে রয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং গত কিছু বছরে বেশ কিছু আলোচিত সিনেমায় কাজ করেছেন, তবুও ভক্তরা তাকে সিনেমায় আর সেভাবে দেখতে পাচ্ছেন না।
মিমের অভিনীত ২০২৩ সালের শেষ সিনেমা ছিল ‘অন্তর্জাল’, যা ব্যবসায়িকভাবে তেমন সাফল্য পায়নি। তবে ২০২২ সালে তার অভিনীত ‘পরান’ সিনেমাটি ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল। এই সিনেমায় মিমের অনন্যা চরিত্রটি দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে ভালো মন্তব্য পেয়েছিল। শরিফুল রাজের সঙ্গে তার অভিনীত জুটি প্রশংসিত হয়েছিল, কিন্তু তারপর আর তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য সিনেমা মুক্তি পায়নি। এদিকে, অভিনেত্রী আরও জানালেন যে, একসময় একটি সিনেমায় কাজ করার কথা ছিল, কিন্তু সেটি নিয়ে আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে সিনেমার বাইরে মিম বর্তমানে বেশ ব্যস্ত রয়েছেন বিজ্ঞাপন ও ফটোশুটের কাজে। নানা প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবেও তিনি কাজ করছেন, তবে চলচ্চিত্রপ্রেমীরা তাকে সিনেমায় দেখতে অনেকটাই হতাশ।
এ প্রসঙ্গে মিম বলেছেন, “আমি চাইলে পরানের পর ১০-১৫টা সিনেমা করে ফেলতে পারতাম। তবে সে রকম কাজ আমি করব না। আমি ভালো কাজের অপেক্ষায় আছি, যেগুলো মানসম্মত হবে। আমি সে রকম কাজে যুক্ত হলে, তখন সবাই জানবেন।”
মিমের কাছে সিনেমা নিয়ে নতুন প্রজেক্টের বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি উল্লেখ করেন, “বর্তমানে আমি কাজ করছি একটি নতুন সিনেমায়, যার নাম ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’। এ সিনেমায় পান্না কায়সারের চরিত্রে অভিনয় করছি এবং সিনেমাটি নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী।”
‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ সিনেমাটি এখনো মুক্তির জন্য প্রস্তুত হয়নি। এ সিনেমার পরিচালনা করেছেন ওয়াহিদ তারেক এবং এতে মিমের পাশাপাশি আরও অনেক জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী রয়েছেন। যদিও সিনেমার কাজ এখনও শেষ হয়নি এবং প্রযোজনা সংস্থার নীরব ভূমিকার কারণে এটি কখন মুক্তি পাবে তা নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, মিমের ওটিটি সিরিজ ‘মিশন হান্টডাউন’ ছিল আরেকটি বড় কাজ, যেখানে তিনি ‘নীরা’ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এই সিরিজটি দর্শকদের কাছ থেকে বেশ ভালো প্রশংসা পেয়েছিল।
সিনেমায় ফিরতে এবং নতুন কাজের জন্য আগ্রহী মিমি জানান, তিনি সবার ভালোবাসা এবং সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ এবং ভবিষ্যতে বড় মানের কাজ নিয়ে ফিরবেন।
বাংলাবার্তা/এমএইচ