
ফাইল ছবি
বর্তমান সময়ে অনিয়মিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। আর এর জন্য দিনের প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার—সকালের নাস্তা—সঠিকভাবে বেছে নেওয়া জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডায়াবেটিস রোগীদের এমন খাবার বেছে নেওয়া উচিত যা ধীরে ধীরে শর্করা মুক্ত করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে। জেনে নিন, সকালের নাস্তায় কোন খাবারগুলো রাখতে পারেন—
১. দই ও বাদাম
দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড়ের জন্য উপকারী। সকালের নাস্তায় দইয়ের সঙ্গে বাদাম ও বীজ মিশিয়ে খেলে স্বাদ যেমন বাড়ে, তেমনি পুষ্টিগুণও বৃদ্ধি পায়।
২. ডিম—প্রোটিনের নির্ভরযোগ্য উৎস
ডিমকে ‘সুপারফুড’ বলা হয় কারণ এতে উচ্চমাত্রার প্রোটিন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি ব্রেকফাস্টে সিদ্ধ, পোচ বা স্ক্র্যাম্বলড করে খাওয়া যেতে পারে।
৩. স্বাস্থ্যকর ফল
ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। বিশেষ করে কমলা, আপেল, বেরি জাতীয় ফল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শরীরকে শক্তিশালী করে তোলে।
৪. ড্রাই ফ্রুটস—উচ্চ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ
বাদাম, আখরোট এবং চিয়া বীজ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। বাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, আর আখরোটে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা হার্টের জন্য ভালো।
৫. ওটস—দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে
ওটসে উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকে, যা ধীরে ধীরে হজম হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা রাখে। এটি গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে কম হওয়ায় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন
প্যাকেটজাত সিরিয়াল ও প্রক্রিয়াজাত খাবার – এতে উচ্চমাত্রার চিনি ও সংরক্ষণকারী উপাদান থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়।
সাদা পাউরুটি ও ময়দার তৈরি খাবার – এতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকায় রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে তোলে।
মিষ্টি ও সফট ড্রিংকস – অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত করতে পারে।
সুস্থ থাকতে ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা ও পর্যাপ্ত পানি পান করাও জরুরি।
বাংলাবার্তা/এমএইচ