
ছবি: সংগৃহীত
কোলেস্টেরল শরীরে থাকা একটি প্রয়োজনীয় চর্বি, তবে তার মাত্রা বাড়লে তা নানা স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। সাধারণত, দুই ধরনের কোলেস্টেরল আমাদের শরীরে থাকে — ভালো এবং খারাপ কোলেস্টেরল। ভালো কোলেস্টেরল শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হলেও, খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তা হৃৎপিণ্ডের সমস্যা, স্ট্রোক, এবং অন্যান্য জীবনযাপন সম্পর্কিত জটিলতার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও তার অস্বাভাবিক মাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস পাওয়ার জন্য কিছু লক্ষণ দেখতে হতে পারে, যা দ্রুত সনাক্ত করলে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব।
১. হাতের তালুর হলদে হওয়া
শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে অনেক সময় হাতের তালুতে হলদেটে রঙের পরিবর্তন দেখা যায়। এটি কোলেস্টেরলের সমস্যা কিংবা জন্ডিসের একটি প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। তবে শুধুমাত্র হাতের তালু পরিবর্তন দেখে যেকোনো সিদ্ধান্তে না পৌঁছানো ভালো। চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সঠিক পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি, যাতে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
২. হাত ও পায়ে ফুসকুড়ি
যখন শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যায়, তখন হাত এবং পায়ে ছোট ছোট ফুসকুড়ি বেরোতে পারে। এই ধরনের ত্বকের সমস্যা সাধারণত একাধিক কারণের ফলস্বরূপ হতে পারে, তবে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত এমন লক্ষণগুলো উপেক্ষা করা উচিত নয়। ত্বককে আরও ভালোভাবে পরীক্ষা করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, বিশেষ করে যদি র্যাশগুলো স্থায়ী বা অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে।
৩. চোখের উপরে হলদেটে র্যাশ
রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে চোখের উপরে গোলাকার বা চাকা চাকা র্যাশ দেখা দিতে পারে, যা সাধারণ র্যাশের থেকে আলাদা। এই র্যাশগুলোতে হলদেটে ভাব থাকে এবং খুব স্পষ্টভাবে চোখের আশেপাশে দৃশ্যমান হতে পারে। এটি এক ধরনের "জ্যালেটিনাস প্ল্যাক" হিসেবে পরিচিত, যা কোলেস্টেরলের কারণে তৈরি হয়। চোখের আশেপাশে এই ধরনের র্যাশ দেখতে পাওয়া গেলে বিশেষভাবে সতর্ক হওয়া উচিত।
কোলেস্টেরল সমস্যা সনাক্ত করার উপায়
কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে সাধারণত শরীরে দৃশ্যমান কোন বড় লক্ষণ দেখা যায় না, তবে যদি উপরের উল্লিখিত লক্ষণগুলো আপনার মধ্যে উপস্থিত থাকে, তাহলে আপনার রক্তের কোলেস্টেরল পরীক্ষা করানো উচিত। পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা ও সুস্থ জীবনযাপন এর মাধ্যমে এই সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, নিয়মিত ব্যায়াম, ওষুধ বা চিকিৎসা নিতে হবে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং সঠিক জীবনযাপন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাবার্তা/এমএইচ