সংগৃহীত ছবি
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। প্রতিশোধ নিতে সেদিন থেকেই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অব্যাহত বিমান হামলা ও অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে করে প্রতিনিয়ত আহত ও নিহত হচ্ছে শত শত মানুষ। নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি।
আগেও ইসরায়েল বার বার গাজাতে হামলা চালালেও এবার অতীতের তুলনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা বেশি। কারণ হিসেবে ইসরায়েল ‘নতুন ধরনের মারণাস্ত্র’ ব্যবহার করছে বলছেন গাজার চিকিৎসকরা। খবর আল জাজিরা।
গাজা উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতালের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া অভিযোগ করে বলেছেন যে, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে হামলায় ইসরায়েল ‘নতুন ধরনের মারণাস্ত্র’ ব্যবহার করছে। তার দাবি, হামলায় আহত হাসপাতালে আসা ব্যক্তিদের আঘাতের চিহ্ন আগের সময়ের চেয়ে আলাদা।
আবু সালমিয়া বলেন, ‘বর্তমান যুদ্ধে আহত ও নিহত ব্যক্তিদের যে ধরনের ক্ষত ও জখম হয়েছে তা তিনি আগে কখনও দেখেননি।’
আল জাজিরার সাথে এক সাক্ষাৎকারে আবু সালমিয়া আরও বলেন, যে হতাহতদের মধ্যে তিনি নতুন ধরণের আঘাত হিসাবে বুঝাতে চাচ্ছেন যে সম্ভবত গাজার জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েল ‘নতুন মারাত্মক অস্ত্র’ ব্যবহার করছে।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৫ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। এদের মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশিই নারী ও শিশু। এছাড়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় ভেঙে পড়া ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপে অনেকে আটকা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।