বাংলাবার্তা
বিশ্বে আফিম উৎপাদনে শীর্ষ অবস্থানে স্থান ছিলো আফগানিস্তান। দেশটির বর্তমান সরকার নিষেধাজ্ঞার পর আফিমের ফলন প্রায় ৯৫ শতাংশ কমে গেছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তরের (ইউএনওডিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছর মিয়ানমার আনুমানিক এক হাজার ৮০ মেট্রিক টন আফিম উৎপাদন করেছে।
ইউএনওডিসির তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের এপ্রিলে তালেবানের পপি চাষে নিষেধাজ্ঞার পর আফগানিস্তানে আফিমের উৎপাদন আনুমানিক ৯৫ শতাংশ কমে প্রায় ৩৩০ টনে দাঁড়িয়েছে।
মায়ানমার, লাওস এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল’ সীমান্ত অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ মাদক উৎপাদন এবং পাচার, বিশেষত মেথামফেটামিন এবং আফিমের কেন্দ্রবিন্দু ছিল।
ইউএনওডিসি জানিয়েছে, মিয়ানমারের ‘আফিম অর্থনীতির’ মোট আনুমানিক মূল্য ১ বিলিয়ন থেকে ২.৪ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে উন্নীত হয়েছে, যা দেশটির ২০২২ সালের জিডিপির ১.৭ থেকে ৪.১ শতাংশের সমতুল্য। গত বছর মিয়ানমারে আনুমানিক ৭৯০ মেট্রিক টন আফিম উৎপাদিত হয়েছিল।
২০২১ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারের আইনি অর্থনীতি সংঘাত ও অস্থিতিশীলতা মোকাবিলা করছে, যার ফলে অনেক কৃষক পপি চাষে বাধ্য হচ্ছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজার ও রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোতে দুর্বল প্রবেশাধিকার এবং ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি ২০২২ সালের শেষের দিকে কৃষকদের আরও পোস্ত চাষের সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে হচ্ছে।
ইউএনওডিসি জানিয়েছে, ২০২২-২৩ সালে আনুমানিক আফিম উৎপাদন ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিল।
বাংলাবার্তা/এমপি