ফাইল ছবি
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠন হামাস। সংগঠনটির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সম্প্রতি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার চলমান সংঘাত বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর এই তিন মধ্যস্ততাকারী দেশের তত্ত্বাবধানে যুদ্ধবিরতিতে নতুন এক চুক্তি সম্পন্ন হয়। সেই চুক্তি মোতাবেক ছয় মাসের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব করা হয়।
হামাসের সেই নেতার ভাষ্যমতে, ‘সম্প্রতি নতুন একটি যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তুত হয়েছে। তাতে আমরা সাড়া দিয়েছি। একইসঙ্গে আমরা (হামাস) আহ্বান জানিয়েছি যেন সেখানে গাজা পুনর্গঠন সংক্রান্ত কয়েকটি ধারা বা শর্ত সংযুক্ত করা হয়।’
যুদ্ধের অন্যতম পক্ষ ইসরায়েল ও মধ্যস্ততাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হামাসকে ইতোমধ্যেই জানানো হয়েছে তারা হামাসের জবাব পর্যালোচনা করে দেখবেন।
এদিকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি এক বার্তায় বলেছেন, ‘ইতোমধ্যেই হামাসের কাছে যুদ্ধবিরতির নতুন চুক্তির খসড়া পাঠানো হয়েছে। তারা আমাদের জানিয়েছে যে এ ব্যাপারে তারা ইতিবাচক। আমরা আশা করছি অতিসত্ত্বর একটি সফল যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হবে।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা গাজার ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায়। সেই হামলার পর থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
চার মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৬৮ হাজার।
চলমান এই সংঘাত বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, ও মিসরের মধ্যস্ততায় গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭ দিনের অস্থায়ী বিরতি চুক্তি হয়েছিল। সেই এক সপ্তাহে ১০৮ জনকে ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। বিপরীতে দেড়শ’রও বেশি ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছিল ইসরায়েল।
বাংলাবার্তা/এনএ