সংগৃহীত ছবি
ক্রিস হিপকিনস বলেছেন, ওয়েলিংটনের ছোট অঞ্চল লোয়ার হাটের একজন ছেলের জন্য এটি একটি বড় দিন। সত্যি বলতে আমি খুব উৎসাহ বোধ করছি এবং কাজে যোগ দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।
পরবর্তী লেবার নেতা ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের নাম প্রকাশের পর প্রথমবারের মতো মিডিয়াকে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হঠাৎ করে গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জেসিন্ডা আরডার্ন। আগামী ১৪ অক্টোবর দেশটির সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে তিনি আর প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হচ্ছেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়লেও জেসিন্ডা নির্বাচন পর্যন্ত পার্লামেন্টের সদস্য থাকবেন।
জেসিন্ডা আরডার্নের পদত্যাগের ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা নির্বাচনে ক্রিস হিপকিনস হলেন দল মনোনীত একমাত্র প্রার্থী।
ক্রিস হিপকিনস জানান, আর্ডার্নের পদত্যাগের পরে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কে সেরা ব্যক্তি হবে তা নির্ধারণে ঐক্যমত্য অর্জনে তিনি দলের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করবেন। খবর দ্য নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের।
তিনি জানান, দল মনোনীত তিনিই একমাত্র প্রার্থী। তবে ককাস বৈঠকের পর পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে সমর্থন না করা পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করতে চান।
হিপকিনস বলেন, আমি মনে করি নিউজিল্যান্ডের জনগণ আমার কাজ দেখেছে। সত্যিই বলতে আমি আমার কাজের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম।
লেবার পার্টির হুইপ ডানকান ওয়েব এক বিবৃতিতে বলেছেন, লেবার পার্টির সংসদীয় ককাসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে রোববার দুপুর ১টায়। সেখানেই হিপকিনসের দলীয়প্রধান হওয়ার বিষয়টির প্রস্তাব উত্থাপন এবং পাস করা হবে।
৪৪ বছর বয়সী ক্রিস হিপকিনস বর্তমানে দেশটির পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিবিসি।
লেবার পার্টি থেকে ক্রিস হিপকিনস ২০০৮ সালে প্রথম পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। ২০২০ সালের নভেম্বরে তাঁকে কোভিড-১৯ মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। করোনা মোকাবিলায় তাঁর নেওয়া পদক্ষেপ দারুণ প্রশংসিত হয়।
গত বছরের মাঝামাঝিতে দেশটির পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ক্রিস হিপকিনস। এ ছাড়া তিনি শিক্ষা, জনসেবা মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। পার্লামেন্টে দলীয় নেতার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।