ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন যক্তিরাষ্ট্রে আজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কয়েক ঘণ্টা পরই শুরু হবে ভোটগ্রহণ। হোয়াইট হাউসে যাওয়ার দৌঁড়ে অনেকটাই এগিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প। ট্রাম্পের কৌশলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জে পড়েছে আরেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমালা হ্যারিসের দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।
মার্কিন মুল্লুকের মুসলিম ভোটারেরা ডেমোক্র্যাটদের উপর খুবই বিরক্ত হয়ে পড়েছ। তারা ঝুঁকেছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্পের দিকে।
দখলদার ইসরায়েলের গাজা উপত্যকায় হামলা এবং ডেমোক্র্যাটিকদের সমর্থন নিয়ে হতাশায় মুসলিম আমেরিকানরা ভোটের মাধ্যমে বিকল্প খুঁজছেন। মুসলিমদের ট্রাম্প ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আবার ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের। ট্রাম্পের বক্তব্য ক্ষ্যাপাটে ধরনের হলেও; তাকে বিশ্বাস করায় যায় বলে মনে করেন ভোটাররা। ট্রাম্পের এমন কৌশলের কাছে ভোটের প্রচারের মাঠে মোটামুটি নাস্তানাবুদ কমালার দল।
কমালা হ্যারিস বা ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনিই প্রেসিডেন্ট হোন; যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যুক্ত হচ্ছে এবারের নির্বাচন।
কারণ যদি কমালা হ্যারিস জয়ী হন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট, তাহলে তিনি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি জয়ী হন, সেক্ষেত্রে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন একজন ব্যাক্তিকে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান হিসেবে পাবে যুক্তরাষ্ট্র— যিনি ইতোমধ্যে ফৌজদারি মামলায় দোষীসাব্যস্ত হয়েছেন।
ট্রাম্প আবার এক কথার মানুষ। তিনি ২০১৬ সালে জানিয়ে দেন, তিনি জিতলেই কেবল ভোটের ফল মানবেন। অন্যথায় ভোটে চুরি হয়েছে বলে ধরে নেবেন। ২০২০ সালে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৭ কোটি ভোট বেশি পান, তবে ট্রাম্পের সেই এককথা, তিনিই বিজয়ী হয়েছেন।
২০২৪ সালে এসেও ট্রাম্প ভাঙা রেকর্ডের মতো একই কথা বলে চলেছেন। গত রোববার পেনসিলভানিয়ায় এক সভায় বলেছেন, ২০২০ সালের নির্বাচনের পর তার হোয়াইট হাউস ছাড়া ঠিক হয়নি। তাকে বারবার প্রশ্ন করা হয়েছে, এবারের ভোটে হেরে গেলে তিনি কি ফলাফল মানবেন কি-না? তার সোজা উত্তর, ভোটে কারচুপি না হল অবশ্য অবশ্যই তিনিই জিতবেন। একই প্রশ্ন বারবার করায় শুকনো মুখে বলেছেন, মুক্ত ও সঠিক নির্বাচন হলে এবং সবকিছু সৎভাবে শেষ হলে তিনি সেই ফলাফল মেনে নেবেন।
বাংলাবার্তা/এমআর