ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফলাফল গণনার শুরু দিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। তবে ধীরে ধীরে ব্যবধান কমিয়ে আনছেন হোয়াইট হাউসে যাওয়ার দৌঁড়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমালা হ্যারিস।
এখন পর্যন্ত ডোনাল্ট ট্রাম্পের ঝুলিতে পড়েছে ২৪৮টি ইলেক্টোরাল। আর কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২১৩টি ইলেক্টোরাল।
পপুলার ভোটে এখন পর্যন্ত ৫২ দশমিক ৫ শতাংশ পেয়েছেন ট্রাম্প। অপরদিকে ৪৬ দশমিক ২ শতাংশ পেয়েছেন হ্যারিস।
এই নির্বাচনে ট্রাম্প ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, কেন্টাকি,আলাবামা, ইন্ডিয়ানা, মিজৌরি, ওকলাহোমা, টেনেসি ও ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে জিতবেন বলে বুথফেরত জরিপে বলা করেছে।
জরিপ মতে- ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া, ভারমন্ট, ম্যাসাচুসেটস ও মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য পেতে পারেন।
ট্রাম্পের কৌশলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জে পড়েছে কমালার দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। মার্কিন মুল্লুকের মুসলিম ভোটারেরা ডেমোক্র্যাটদের উপর খুবই বিরক্ত হয়ে পড়েছে। তারা ঝুঁকেছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্পের দিকে।
দখলদার ইসরায়েলের গাজা উপত্যকায় হামলা এবং ডেমোক্র্যাটিকদের সমর্থন নিয়ে হতাশায় মুসলিম আমেরিকানরা ভোটের মাধ্যমে বিকল্প খুঁজছেন। মুসলিমদের ট্রাম্প ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আবার ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের। ট্রাম্পের বক্তব্য ক্ষ্যাপাটে ধরনের হলেও; তাকে বিশ্বাস করায় যায় বলে মনে করেন ভোটাররা। ট্রাম্পের এমন কৌশলের কাছে ভোটের প্রচারের মাঠে মোটামুটি নাস্তানাবুদ কমালার দল।
কমালা হ্যারিস বা ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনিই প্রেসিডেন্ট হোন; যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যুক্ত হচ্ছে এবারের নির্বাচন।
কারণ যদি কমালা হ্যারিস জয়ী হন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট, তাহলে তিনি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি জয়ী হন, সেক্ষেত্রে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন একজন ব্যাক্তিকে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান হিসেবে পাবে যুক্তরাষ্ট্র- যিনি এরইমধ্যে ফৌজদারি মামলায় দোষীসাব্যস্ত।
বাংলাবার্তা/এমআর