ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে গেছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস। কেন হোয়াইট হাউসের দৌড়ে ট্রাম্পকে ঠেকাতে পারলেন না কমলা, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন কারণ ও ভুলের কথা বলছেন। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কারণ হলো অর্থনৈতিক অস্থিরতা, অভিবাসন ও কমলার দেরিতে প্রার্থী হওয়া।
অর্থনৈতিক অস্থিরতা: ১৯৯২ সালে বিল ক্লিনটনের জয়ী হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ডেমোক্রেটিক দলের কৌশল নির্ধারণকারী জেমস কারভিলে আগের সরকারের মেয়াদে অর্থনৈতিক স্থবিরতার কথা বলেছিলেন। ওই ঘটনার ৩০ বছর পর একই কারণে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারতে হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের বিদায়ী প্রশাসন মূল্যস্ফীতিতে লাগাম টানতে না পারায় কমলা মার্কিন ভোটারদের ভোট জিততে পারেননি।
অভিবাসীদের ঢেউ ইউনিভার্সিটি অব রিচমন্ড স্কুল অব ল-এর অধ্যাপক কার্ল টোবিয়াস মনে করেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পেছনে অভিবাসন বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বাইডেন-কমলা প্রশাসনের মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে আসা লাখ লাখ অভিবাসীকে বিতাড়িত করার জন্য বড় ধরনের অভিযান চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প।
জনসমর্থনে পরিবর্তন প্রাথমিক বুথফেরত জরিপে দেখা যায়, কমলা হ্যারিস প্রায় ৪০ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ ভোট, ৮০ শতাংশের বেশি কৃষ্ণাঙ্গ ভোট এবং হিস্পানিক ও এশীয়দের প্রায় অর্ধেকের ভোট পেয়েছেন। একই জরিপে দেখা যায়, ট্রাম্প কোনো অ-শ্বেতাঙ্গ গোষ্ঠীর সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না জিততে পারলেও আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে তার সমর্থন একক অঙ্কে বেড়েছে। আর হিস্পানিকদের মধ্যে তার সমর্থন
বেড়ে দুই অঙ্কের ঘরে ছিল। এই প্রবণতাটি ডেমোক্রেটদের জন্য গভীর উদ্বেগের। নির্বাচনী প্রচারে দেরি খুব শিগগির বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বয়স ৮২ বছর হতে যাচ্ছে। শুরুতে বাইডেনই ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেন। তার বয়স বেশি হওয়ায় ডেমোক্র্যাট নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে তার কোনো শক্ত প্রতিপক্ষ বেছে নেওয়া হয়নি। তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার অবনতি নিয়ে প্রশ্ন উঠলেই হোয়াইট হাউস তা অস্বীকার করত।
বাংলাবার্তা/এমআর