ছবি : সংগৃহীত
ভারতে মণিপুর রাজ্যের জিরিবাম জেলায় তিন সন্তানের মাকে ধর্ষণের পর জীবিত অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে ‘মেইতেই’ গোষ্ঠীর একদল সশস্ত্র সদস্য ‘হামার’ জনগোষ্ঠীর ওই নারীকে ধর্ষণ করে। পরে তার শরীরে আগুন লাগিয়ে দেয়। ওই নারী একজন স্কুল শিক্ষিকা। তার বয়স ৩১ বছর। এ ছাড়াও ওই গ্রামের ২০টি বাড়িতে আগুন লাগানো হয়।
পুলিশের কাছে ওই নারীর স্বামীর করা মামলায় উল্লেখ করা রয়েছে, ‘তার স্ত্রীকে সশস্ত্র মেইতেই সন্ত্রাসীরা ধর্ষণ করে এবং পরে শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যা করে।’
পুলিশের এক কর্মকর্তা সংবাদিকদের জানান, নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আসামের শিলচরে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় এখন উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি, কীভাবে ওই নারী পুড়েছেন এবং কতগুলি বাড়ি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ২০ বাড়ি পুড়ে গেছে বলে আমরা খবর পেয়েছি।
গত ১৯ অক্টোবর কুকি-জো-হামার গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধ হয়। এর আগে, এরপর থেকে পরিস্থিতি তুলনামূলক শান্ত ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, জিরিবাম জেলার পুলিশ সুপারের উদ্যোগে স্থানীয় মেইতেই ও হামার জনগোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু করার ঠিক আগে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটল। এলাকায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সিআরপিএফ, আসাম রাইফেলস এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
বাংলাবার্তা/এমআর