ছবি : সংগৃহীত
দখলদার ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের পাঁচটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। লেবাননভিত্তিক শান্তিকামী এই সশস্ত্র গোষ্ঠী দখলদার ইসরায়েলের হাইফা শহর ও এর নিকটে সামরিক ঘাঁটিগুলো টার্গেট করে হামলা চালায়।
ইসরায়েলি বাহিনীর বরাতে সংবাদমাধ্যম এএফপি জানিয়েছে, হাইফা শহরের একটি সিনাগগে রকেট হামলায় দুইজন আহত হয়েছেন।
ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ যোদ্ধাগণ একটি প্রযুক্তিগত ঘাঁটি, হাইফা নৌ ঘাঁটি, স্টেলা ম্যারিস নৌ ঘাঁটি ও হাইফার নিকটে দুইটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর একটি গ্যাস স্টেশন ও ক্ষেপণাস্ত্রের গুদাম ছিলো।
এর আগে লেবানন থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় গ্যালিলি এলাকায় প্রায় ২০টির মতো রকেট ছোড়া হয়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং তারা দাবি করেছে, গত এক সপ্তাহে রাজধানীর দক্ষিণ শহরতলিতে ৫০টি হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় আরো ৪৩ প্রাণহানি ঘটেছে। এ নিয়ে গাজায় এখন পর্যন্ত সর্বমোট প্রাণহানির সংখ্যা ৪৩ হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। আজ রবিবার (১৭ নভেম্বর) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যদিও অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন বলছে, প্রাণহানির এই সংখ্যা আরও অনেক বড়। এছাড়াও গেল বছরের অক্টোবর মাস থেকে চলা এ বর্বর হামলায় কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় একের পর এক বর্বরোচিত হামলা চালিয়েই যাচ্ছে। মনে হচ্ছে, তারা গাজার নিঃশেষ ‘না দেখে’ থামবে না। গত শনিবার (১৬ নভেম্বর) গাজাজুড়ে চালানো হামলায় অন্তত আরো ৪৩ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এদিকে ইসরায়েলের বসতি স্থাপনকারীরা অধিকৃত পশ্চিম তীরের বেইট ফুরিক গ্রামে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ও যানবাহনে আগুন দিয়েছে।
বাংলাবার্তা/এমআর