ছবি : সংগৃহীত
হঠাৎ সামরিক আইন জারির ঘোষণা করায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে গেছে। এর জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল।
তিনি জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তার কী করণীয় রয়েছে সেই ব্যাপারে নিজের দল পিপলস পাওয়ার পার্টি-পিপিপির সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক ভাষণে ইউন সুক ইয়োল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য আমি অন্তত্য দুঃখিত। আমি সকলের নিকট আন্তরিক ক্ষমা চাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আর এই পদে থাকবো কি-না সেই বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত অবশ্যই চূড়ান্ত থাকবে।’
প্রেসিডেন্টের ভাষণ শেষ হওয়ার পর পিপিপির শীর্ষ নেতা হান ডং হুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই ইস্যুতে দল কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়।
হান বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট তার পদে থাকা ও দায়িত্বে থাকার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন। ইউন সুক ইয়োলকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। এটি আবশ্যিক হয়ে গেছে।’
গত ৩ ডিসেম্বর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে আকস্মিকভাবে দেশজুড়ে সামরিক শাসন জারি করেন ইউন সুক ইয়োল। ইউন বলেছিলেন, পারমাণবিক শক্তিধর উত্তর কোরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সমর্থক শক্তিগুলোর হাত থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সার্বভৌমত্ব এবং সংবিধানকে রক্ষা করতে সামরিক আইন প্রয়োজন। তবে ভাষণে তিনি কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকির কথা উল্লেখ করেননি।
বাংলাবার্তা/এমআর