
ফাইল ছবি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে কৌশলগত জোট গড়তে চায় চীন ও ভারত। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে চীনা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করেছে, যা বেইজিংয়ের জন্য বড় ধরনের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। একইভাবে, ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য নীতির শিকার হয়েছে ভারতও।
বেইজিংয়ের আহ্বান
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সম্প্রতি নয়াদিল্লির উদ্দেশে বার্তা দিয়ে বলেছেন,
“আধিপত্যবাদ ও পেশিশক্তির রাজনীতির বিরুদ্ধে ভারত ও চীনকে একসঙ্গে নেতৃত্ব দিতে হবে। হাতি (ভারত) ও ড্রাগনের (চীন) নাচই একমাত্র সঠিক পথ।”
ওয়াং ইর এই মন্তব্য দিল্লি ও বেইজিংয়ের নতুন মৈত্রীগঠনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
ভারত-চীনের ঐতিহাসিক টানাপোড়েন
ভারত ও চীনের সম্পর্ক বরাবরই উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেছে। ষাটের দশকে সীমান্ত সংঘাতের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে অবিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি হয়। লাদাখ, অরুণাচল ও ভারত মহাসাগরে চীনের আগ্রাসন পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। ভারতও চীনের পাকিস্তান-ঘনিষ্ঠ নীতির কারণে বেইজিংকে সতর্কতার সঙ্গে সামলাচ্ছে।
তবে কি কৌশল বদলাচ্ছে বেইজিং?
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধ চীনকে নতুন কূটনৈতিক সমীকরণ কষতে বাধ্য করছে। বেইজিংয়ের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের বৈঠকের পর ওয়াং ই বলেন,
“ভারত-চীন পরস্পরকে সহযোগিতা করলে গ্লোবাল সাউথের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। পরস্পরকে দুর্বল করার চেয়ে একসঙ্গে কাজ করাই উভয় দেশের স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি আরও জানান, গত বছর রাশিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠকে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে এবং সীমান্ত সংঘাতও কিছুটা কমেছে।
কূটনৈতিক সমীকরণের ভবিষ্যৎ কী?
যদিও চীন ভারতকে পাশে চায়, তবে নয়াদিল্লি কতটা এগিয়ে আসবে, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। ভারতের কৌশলগত মিত্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্ব অস্বীকার করা কঠিন। ফলে এই নতুন মৈত্রীর কতটুকু বাস্তবায়ন হবে, তা নিয়ে কূটনৈতিক মহলে নানা আলোচনা চলছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ