
ফাইল ছবি
গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের পূর্ব আফ্রিকার কয়েকটি দেশে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-এর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য, যেখানে দাবি করা হয়েছে, সুদান, সোমালিয়া এবং এর স্বঘোষিত অঞ্চল সোমালিল্যান্ডের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দুই দেশ।
গাজা থেকে বাস্তুচ্যুতির পরিকল্পনা
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর গাজা উপত্যকার ‘দখল’ এবং এটিকে মধ্যপ্রাচ্যের একটি পর্যটন কেন্দ্র বানানোর পরিকল্পনার কথা জানান। তবে এই ঘোষণার পর মিশর একটি বিকল্প প্রস্তাব দেয়, যেখানে গাজাকে জনশূন্য না করে পুনর্গঠনের ওপর জোর দেওয়া হয়। মিশরের ৫৩ বিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনা আরব নেতাদেরও সমর্থন পেয়েছে।
তবে কি মত বদলাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র?
গত সপ্তাহে এক বৈঠকে আইরিশ নেতা মাইকেল মার্টিনের প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, "কেউ গাজা থেকে কোনও ফিলিস্তিনিকে বহিষ্কার করছে না।" তার এই মন্তব্যকে অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।
পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া
তবে পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এমন কোনো পরিকল্পনার বিষয়ে অবগত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
- সোমালিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ মোয়ালিম ফিকির সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, "ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমিতে বসবাসের অধিকার খর্ব করবে—এমন কোনো উদ্যোগকে আমরা স্বীকৃতি দেব না।"
- সুদানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, "এই ধরনের পরিকল্পনা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।"
বিশ্বরাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা
বিশ্লেষকদের মতে, গাজার চলমান সংকট সমাধানের বদলে এমন বিতর্কিত পরিকল্পনা আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ